যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭৭। এছাড়াও ছিলেন ৬ জন বিমানকর্মী। সব মিলিয়ে ১৮৩ জন ওই বিমানে ছিলেন। বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছে বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল। রানওয়েতে নেমেও আসে সেটি। কিন্তু রানওয়ে দিয়ে গতি কমানোর ছুট দেওয়ার সময় আচমকাই বিমানটি রানওয়ে থেকে হড়কে যায়। তারপরই ঘটে ভয়ংকর ঘটনা। ৩ টুকরো হয়ে ভেঙে যায় আস্ত যাত্রীবোঝাই বিমানটি। এই ঘটনার পর দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ৩ জন যাত্রীর এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। বাকিদের আঘাত কারও কম, কারও বেশি। তবে ঝুঁকি না নিয়ে সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পড়ুন : জরুরি অবতরণের সময় রানওয়েতেই বিমানে আগুন, মৃত ৪১
ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কের ইস্তানবুলের বিমানবন্দরে। তুরস্কের ইজমির প্রদেশ থেকে বিমানটি ইস্তানবুল আসে। ইস্তানবুলের বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ই ঘটে বিপত্তি। সস্তার বিমান হিসাবে পরিচিত পেগাসাস এয়ারলাইন্স। তাদের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ১০ বছরের পুরনো বলে জানতে পারা গেছে। বিমানটি যেভাবে টুকরো হয়ে গেছে তাতে হতবাক অনেকেই। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে বিষয়টি কেন ঘটল তার তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।
পড়ুন : রানওয়ে ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল নিয়ন্ত্রণহীন বিমান, মৃত কমপক্ষে ১৫
পেগাসাস এয়ারলাইন্স যেমন গত ২০ বছর ধরে সস্তায় যাত্রী পরিবহণ করে চলেছে, তেমনই ইদানিং সংস্থাটি যথেষ্ট বদনাম কুড়িয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি ইস্তানবুলের ওই বিমানবন্দরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পেগাসাসের আরও একটি বোয়িং ৭৩৭। সেটি শারজা থেকে আসছিল। সেই বিমানটিও অবতরণের পর রানওয়ে ছাড়িয়ে ছুটে এগিয়ে যায়। তবে সেই ঘটনায় যাত্রীরা অক্ষত ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা