Feature

এই গ্রামে এখনও মানুষ পাখির ভাষায় কথা বলেন

পাখির ভাষা মানে তো পাখির ডাক। এই ভাষাতে কি মানুষ নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পারে? এই গ্রামে কিন্তু পাখির ভাষাতেই এখনও কথা বলেন মানুষজন।

এ গ্রাম পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। চারদিকে পাহাড়। তার ঢাল ধরে সবুজ বনানী। নীল আকাশের তলায় এই পাহাড়ের ঢালে গড়ে উঠেছে জনবসতি। এখানেই রয়েছে একটি গ্রাম।

পাহাড়ের ঢালে এক অপূর্ব দর্শন গ্রাম। যেখানে মানুষকে পাহাড়ের ঢালেই কাজ করতে হয়। ফসল ফলাতে হয়। অন্যান্য কাজ করতে হয়।


বহু দূরে এ পাহাড়, ও পাহাড়ের ঢালে এ গ্রামের মানুষজন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তখন যদি তাঁদের নিজেদের মধ্যে কথা বলার দরকার পড়ে তখন তাঁরা পাখির ডাকের মত শিষ দিয়ে বার্তা পৌঁছে দেন। আর এভাবেই চলতে থাকে কথা।

এ প্রান্ত থেকে শিষ দিয়ে কিছু জানানোর পর তার উত্তরও আসে শিষ দিয়ে। ঠিক যেমন করে পাখিরা কথা বলে। তাই এই গ্রামকে বলা হয় পাখির ডাকের গ্রাম।


তুরস্কের এই পাখির ডাকের গ্রামের নাম কুসকয়। বলা হয় ৪০০ বছর ধরে এই গ্রামে বংশপরম্পরায় চলে আসছে এই পাখির ডাকে কথা বলা।

ঠিক কবে কে বা কেন এই পাখির ডাকের ভাষা তৈরি করেছিলেন তা পরিস্কার করে জানা নেই। তবে এই পাখির ডাকে কথা বলা এখানকার শিশুরা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই রপ্ত করতে থাকে।

পাহাড়ে বহু দূরে দূরে কাজ করা গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় বার্তা আদান প্রদান করতে এই পাখির ডাকের শিষ ব্যবহার করেন। যা স্পষ্ট শোনা যায় পাহাড় ঘেরা এই এলাকায়। ইউনেস্কো এই পাখির ডাকের ভাষাকে প্রাচীন সংস্কৃতি হিসাবে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button