গত শুক্রবার প্রবল কম্পন অনুভূত হয় তুরস্কের পূর্বপ্রান্তে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। জোড়াল কম্পনে অনেক বাড়ি ভেঙে পড়ে। বহু মানুষ সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। কম্পন এতটাই জোড়াল ছিল যে তা সামান্য সময়েই মালাতিয়া, ইলাজিগের মত এলাকাকে ধূলিসাৎ করে দেয়। এছাড়াও আশপাশের বহু এলাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গা থেকেই বাড়ি ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তুরস্ক লাগোয়া সিরিয়া, জর্জিয়াতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
রাতের কম্পনের পর একের পর এক আফটার শক হানা দিতে থাকে। বারবার কেঁপে উঠতে থাকে এলাকা। পরপর অনেকগুলি আফটার শক অনুভূত হয়। আতঙ্কে বহু মানুষ রাস্তায়, খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসেন। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যেই এই ধ্বংসলীলা হয় যে অনেকে আবার বার হতে না পেরে ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান। উদ্ধারকাজ শুরু হয় রাত থেকেই। যতই ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে ততই দেহ বেরিয়ে আসছে।
মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ২২। যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিবরিস জেলা ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। এর চেয়েও বেশি মাত্রার কম্পনে এত বড় ঘটনা দেখা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়না। তার কারণ কম্পনের কেন্দ্রস্থল থাকে জলের তলায়। কিন্তু এক্ষেত্রে একদম মাটির তলায় কম্পনের জেরে ক্ষয়ক্ষতি এতটা ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে কিন্তু এটাই তুরস্কের প্রথম কম্পন নয়। গত বুধবারই আর একটি জোড়াল কম্পন অনুভূত হয়েছিল সে দেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা