তুরস্কের ইস্তানবুলে বিমানবন্দরে জঙ্গি হানার ঘটনায় তোলপাড় গোটা বিশ্ব। আর ইস্তানবুল মানেই ছবির মত একটা শহর। যার গোটা অর্থনীতিটাই দাঁড়িয়ে আছে পর্যটনের ওপর। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে এখানে। রাজধানী আঙ্কারাও ব্যবসায়িক দিক থেকে গুরুত্বের দাবি রাখে। সেই তুরস্ক বারবার জঙ্গি নিশানার শিকার হয়েছে। কখনও কুর্দিশ আক্রমণ তো কখনও আইএস। বারবার মৃত্যুর কালো থাবা নেমে এসেছে এই দেশের ওপর। ২০১৬-তেই এদিনের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে হামলা বাদ দিলে ৭ বার জঙ্গি নিশানার শিকার তুরস্ক।
- গত ৮ জুন গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে তুরস্কের মিদ্দাত শহরে, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৩ জনের, আক্রমণের লক্ষ ছিল তুরস্কের পুলিশ
- ৭ জুন, ইস্তানবুলের রাস্তায় একটি পুলিশ বোঝাই বাসকে টার্গেট করে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা, মৃত্যু হয় ১১ জনের, আহত হন বেশ কয়েকজন
- ৩১ মার্চ, তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরে একটি বাস টার্মিনাসের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৭ পুলিশ আধিকারিকের, আহত হন ২৭ জন
- ১৯ মার্চ, পর্যটক ভর্তি ইস্তানবুলের রাস্তায় মানব বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ বিদেশি নাগরিকের, মৃতদের মধ্যে ২ জন মার্কিন ইজরায়েলি দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তি, ১ জন ইজরায়েলি ও ১ জন ইরানের নাগরিক
- ১৩ মার্চ, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার একটি জনবহুল এলাকায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৩৭ জনের, ঘটনার পরই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কুর্দিশ বিদ্রোহীরা
- ১৭ ফেব্রুয়ারি, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি সেনাবাহিনীর গাড়িকে লক্ষ করে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা, বিস্ফোরণে ২৯ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ১৮ জন, এই বিস্ফোরণেরও দায় স্বীকার করে কুর্দিশ বিদ্রোহীরা
- ১২ জানুয়ারি, ইস্তানবুলের পর্যটক ঠাসা এলাকা সুলতানাহমেত স্কোয়ারে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের, যার মধ্যে ৮ জন জার্মান নাগরিক, তুরস্কের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি পর্যটন ব্যবসাকে ধ্বংস করতেই আইএস জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু