বদমাশ-এর ডাক পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়
এই অঙ্ক সোশ্যাল সাইটে এসে একটা ভাল হয়েছে। অনেকেই যাঁদের বহুদিন অঙ্ক কষার অভ্যাসটা চলে গিয়েছিল, তাঁরা ফের পেন ধরলেন। অঙ্ক কষলেন।
২৩০-২২০x০.৫=কত? এই অঙ্কই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল সাইটে। অঙ্কটি ট্যুইটারে প্রকাশ করা হয়। কেজে চীতম নামে এক ব্যক্তি এই অঙ্কটি ট্যুইটারে পোস্ট করে নিজেই এর উত্তরটা দিয়ে দেন। লেখেন কেউ বিশ্বাস করবেন না যে এই অঙ্কের উত্তর হবে ৫! অত্যুৎসাহে এই অঙ্ক ও তার উত্তর দেওয়ার পর সেটি ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে। হুহু করে ছড়াতে থাকে। সকলেই অঙ্ক কষতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
নেটিজেনরা মাথা চুলকোতে চুলকোতে অঙ্কটি কষে ফেলেন। অনেকেই উত্তর পান ১২০। ৫ নয়। আর সেটাই ঠিক। ১২০ হল এই অঙ্কের উত্তর। এখানে অঙ্কের পুরনো রুল ‘বদমাশ’ ব্যবহার করে উত্তর পাওয়া যাবে বলে জানান অঙ্কের বিশেষজ্ঞেরা।
ব্র্যাকেটস, অফ, ডিভিশন, মাল্টিপ্লিকেশন, অ্যাডিশন এবং সাবস্ট্র্যাকশন। সব মিলিয়ে বিওডিএমএএস বা ‘বদমাশ’। এই পদ্ধতি ব্যাবহার করেই এই অঙ্কের সমাধান সম্ভব এবং তা মেনে করলে উত্তর হবে ১২০ বলে জানান গণিত বিশেষজ্ঞেরা।
এতকিছুর পরও অবশ্য অনেক নেটিজেনই ১২০-কে উত্তর হিসাবে মেনে নিতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, অঙ্কটি যিনি ট্যুইটারে দিয়েছেন তিনি যতক্ষণ না তাঁর দেওয়া উত্তর ৫ বদলে ১২০ লিখছেন ততক্ষণ তাঁরা মেনে নেবেন না এই অঙ্কের উত্তর ১২০।
কেজে চীতম অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই অঙ্কের কিছু জানেন না। তিনিও পেয়েছিলেন। তাই শেয়ার করেছিলেন। আসলে এই অঙ্ক যে এমন হুলস্থূল ফেলে দেবে তা বোধহয় তিনি কল্পনাও করতে পারেনি। নিছক মজার ছলেই দিয়েছিলেন ট্যুইটারে।
এদিকে এই অঙ্ক সোশ্যাল সাইটে এসে একটা ভাল হয়েছে। অনেকেই যাঁদের বহুদিন অঙ্ক কষার অভ্যাসটা চলে গিয়েছিল, তাঁরা ফের পেন ধরলেন। অঙ্ক কষলেন। মাথা চুলকোলেন। কেন মিলছে না উত্তর তা নিয়ে মাথা ঘামালেন!
অনেকেরই মনে হল সেই কবে অঙ্ক ছেড়েছেন। নাহলে কবেই অঙ্কের সমাধান তুড়ি মেরে করে দিতেন! ভুল, ঠিক পরের কথা। এটা কিন্তু ভাইরাল হয়ে অনেকের মাথা ঘামিয়ে ছাড়ল। ঝালাই হল মগজাস্ত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা