বিখ্যাত সুরকার জুটির সঙ্গে পরিচয়ের আশ্চর্য নেপথ্য কাহিনি শোনালেন উদিত নারায়ণ
একেই বলে যোগাযোগ। কীভাবে যে কার সঙ্গে কার যোগাযোগ তৈরি হয় তা কেউ বলতে পারেননা। উদিত নারায়ণ শোনালেন এমনই এক আশ্চর্য করে দেওয়া কাহিনি।
একদিন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর পরিচিত অঞ্জন সাহেবের। তিনি উদিত নারায়ণকে জানান, উদিতের বাড়ির কাছেই নাকি সুরকার চিত্রগুপ্ত শ্রীবাস্তব থাকেন।
উদিত জানান তিনি চিত্রগুপ্ত সাহেবের বড় ভক্ত। কোনওভাবে কি তাঁর সঙ্গে দেখা করা যায়? অঞ্জন সাহেব তাঁকে নিশ্চিন্ত করেন। তিনিই উদিতকে নিয়ে হাজির হন চিত্রগুপ্ত সাহেবের বাড়িতে।
সেখানে উদিতকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর সুরকার চিত্রগুপ্ত তাঁকে একটি গান শোনাতে বলেন। তবে এটাও বলেন যে কোনও হিন্দি গান নয়, চিত্রগুপ্ত শ্রীবাস্তব একটি ভোজপুরী গানের ২-৪ লাইন দেবেন। সেই গানটা শোনাতে হবে। উদিত তাই করেন। সেদিন ভোজপুরী গান গেয়ে শোনান চিত্রগুপ্তকে।
উদিতের গলায় গান শোনার পর চিত্রগুপ্ত শ্রীবাস্তব তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর ২ ছেলে আনন্দ এবং মিলিন্দ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে। চিত্রগুপ্ত শ্রীবাস্তব এটাও জানান যে তাঁর ২ ছেলে কলেজে পড়েন।
তাঁরা সিনেমার জগতে পা রাখার সুযোগ পাননি। তবে যেদিন পাবেন সেদিন যেন তাঁরা উদিতের সঙ্গে যোগাযোগ অবশ্যই করেন সেটা চিত্রগুপ্ত শ্রীবাস্তব তাঁর ২ ছেলেকে বলে দেবেন।
সেদিন চিত্রগুপ্ত শ্রীবাস্তবের বাড়িতেই তাঁর ২ তরুণ পুত্রের সঙ্গে আলাপ হয় উদিত নারায়ণের। আগামী দিনে, বিশেষত ৯০-এর দশকে এই আনন্দ-মিলিন্দ সুরকার জুটির সুরে উদিতের কণ্ঠে কালজয়ী সব গান গোটা দেশকে মিষ্টি সুরের যাদুতে মোহিত করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা