আফ্রিকার পূর্ব দিকের অরণ্যময় দেশ উগান্ডা। এখানকার বিখ্যাত জাতীয় অভয়ারণ্য কুইন এলিজাবেথ জাতীয় উদ্যানে বাঘ, সিংহের মত হিংস্র শ্বাপদ নির্বিঘ্ন রাজ্যপাট চালায়। অভয়ারণ্যের প্রাণিদের দেখাশোনার দায়িত্ব বনকর্মীদের। তাই জাতীয় উদ্যানের ভিতরেই পরিবার নিয়ে বাস তাঁদের।
এতদিন বনকর্মী ও বন্যপ্রাণিদের সহাবস্থানে কখনও বেতাল হয়নি। কিন্তু গত শুক্রবার জঙ্গলের ভিতরেই গড়ে ওঠা বনকর্মীদের আবাসন থেকে এক শিশুকে তুলে নিয়ে যায় এক চিতাবাঘ। পরদিন অর্থাৎ শনিবার অভয়ারণ্যেই পাওয়া গেল শিশুর মাংসহীন কঙ্কালসার দেহাবশেষ।
মৃত শিশুপুত্রের নাম এলিশা নাবুগেরে। তার মা ডোয়েন আয়েরা কুইন এলিজাবেথ জাতীয় উদ্যানের একজন কর্মী। পার্কের মধ্যে কর্মী আবাসনে সপরিবার থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে শিশুর দেখভালের দায়িত্ব বাড়ির বয়স্ক পরিচারিকার হাতে দিয়ে কাজে বার হন ডোয়েন। পরিচারিকার দাবি, কিছুক্ষণের জন্য ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় শিশুটিও তাঁর পিছু পিছু বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। যা তিনি খেয়াল করেননি।
ঠিক সেই সময়েই রাতে অন্ধকারে বাইরে ঝোপের মধ্যে ওঁত পেতে ছিল একটা চিতাবাঘ। শিশুকে একা পেয়ে চিতা তাকে টেনে নিয়ে জঙ্গলের অন্ধকারে গা ঢাকা দেয়। শিশুর আর্ত চিৎকার কানে এলেও পরিচারিকা তাকে চিতাবাঘের কবল থেকে উদ্ধার করতে পারেননি।
ঘটনার পর থেকে জাতীয় উদ্যানের বনকর্মীরা মানুষের মাংসের স্বাদ পাওয়া চিতাবাঘের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছেন। বিপদজনক চিতাটিকে পাকড়াও করে অন্যত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। এদিকে এভাবে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বনকর্মী আবাসনে শোকের আবহ তৈরি করেছে।