ইউক্রেনের বাঙ্কারে জন্ম নিল শিশু, দেশ বলছে আশার আলো
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। রাজধানী কিয়েভে যেভাবে রাশিয়া আক্রমণ হানছে তাতে শহরবাসী বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই জন্ম নিল এক শিশু।
কিয়েভের রাস্তায় এখন বারুদের গন্ধ। ক্রমশ শহরটার চেহারা বদলাচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দ থামার নাম নিচ্ছে না। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হানা শহরটার অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পরিস্কার নয়।
এরমধ্যেই রাশিয়ার সেনাকে প্রতিহত করতে সাধারণ মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। বয়স্করাও সেই দলে শামিল হয়েছেন। কবে যে এর শেষ, কবে যে তাঁরা ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন জানেন না কিয়েভবাসী।
বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ অনিশ্চিত জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতাল নয়, একটি বাঙ্কারে আশ্রয় হয়েছিল ২৩ বছরের এক তরুণী মায়ের।
বাইরে রাশিয়ার বোমাবর্ষণ চলছে। আকাশে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। ইউক্রেন সেনা কিয়েভ বাঁচাতে মরণপণ লড়াই দিচ্ছে। বাড়ির পর বাড়িতে আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার বোমা। কিন্তু প্রকৃতি তো তার নিয়মেই চলে।
প্রসব যন্ত্রণা বাড়তে থাকে ওই তরুণীর। তারপর ওই বাঙ্কারেই জন্ম হয় এক কন্যা সন্তানের। নাম দেওয়া হয়েছে মিয়া। তরুণীর আর্তনাদের আওয়াজ পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশই দ্রুত মা ও শিশুকে একটি হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
এদিকে বাঙ্কারে জন্ম নেওয়া এই শিশুর কথা ছড়িয়ে পড়েছে কিয়েভের বাসিন্দাদের মধ্যে। সকলেই মনে করছেন এই সদ্যোজাত শিশু এই অবস্থাতেও আশার আলো নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। ওই শিশুই ইঙ্গিত দিল ইউক্রেনের নতুন জন্মের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা