তেজস্ক্রিয় বর্জ্যে আছড়ে পড়ল রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, অলোচনার শহর নিয়ে দর কষাকষি
তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ফেলার জন্য যে নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে ঠিক সেখানেই এসে আছড়ে পড়েছে রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যা কিয়েভ শহর জুড়ে আতঙ্ক নতুন করে বাড়িয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বহু দেশ ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। রাশিয়ার এই যুদ্ধ ঘোষণা ও ইউক্রেন হানার নিন্দা করেছে তারা। রাষ্ট্রসংঘও ইউক্রেনের পাশেই রয়েছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি রাশিয়া ভেটো দেওয়ায়।
এই অবস্থায় রাশিয়া এবার বেলারুশের শহর হরনেল-এ আলোচনায় বসতে আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনকে। যে আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বেলারুশের কোনও শহর নয়, তাঁরা তার বাইরে বাতিস্লাভা, ওয়ারশ্, বাকু, বুদাপেস্ট বা ইস্তানবুলে কথা বলতে রাজি।
এদিকে এরমধ্যেই ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার পদাতিক সেনা। সেখানে ইউক্রেন সেনার সঙ্গে তাদের বিভিন্ন রাস্তায় মুখোমুখি লড়াই চলছে। শহরে শুধুই শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির শব্দ। আছড়ে পড়ছে রকেট।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহরের ওপর রাশিয়ার হানা অব্যাহত। সেখানে অনেক বাড়িতে আছড়ে পড়েছে রাশিয়ার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র। অনেক রাস্তায় বড় বড় খোঁদল তৈরি হয়েছে।
এরমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তিনি এখনো কিয়েভেই রয়েছেন। আর কিয়েভ এখনও ইউক্রেনের হাতেই রয়েছে।
জেলেনস্কির এক পরামর্শদাতা এরমধ্যে দাবি করেছেন যে তাঁদের শত্রুপক্ষের সেনাকে তাঁরা কিয়েভে ঢুকতে দেননি। এখন রাশিয়া এগোনোরও চেষ্টা করছেনা।
এদিকে জার্মানি জানিয়ে দিয়েছে তারা তাদের আকাশ রাশিয়াকে ব্যবহার করতে দেবে না। অর্থনৈতিক বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে জার্মানি। ইউরোপের অধিকাংশ দেশ বা আমেরিকাও রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিকে এরমধ্যেই রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে কিয়েভ শহরের অদূরে একটি স্থানে যেখানে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ফেলা হয়। যা নতুন করে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা