৪০০ ভাড়াটে খুনি পাঠাল রাশিয়া, রিপোর্ট ঘিরে হইচই
শুধু সেনাতেই ভরসা নয়। সেনাকে দিয়ে একাজ করাতেও হয়তো চাইছে না। তাই রাশিয়া এবার ৪০০ ভাড়াটে খুনি পাঠাল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে।
রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যেই প্রথমে রাজি না হয়েও অবশেষে সেই বেলারুশেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
অন্যদিকে ইউক্রেনের এই দেশ রক্ষা করতে মরণপণ লড়াইকে সেলাম জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এসবের মাঝেই একটি খবর রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।
একটি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে ক্রেমলিন এবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৪০০ জন ভাড়াটে খুনি ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাদের যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়নি। তারা ইউক্রেন সেনার সঙ্গে যুদ্ধ করবে না বা ইউক্রেনে হত্যালীলা চালাবে না। তাদের লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া হয়েছে।
এই ৪০০ জন ভাড়াটে খুনির কাজ হবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে খুঁজে বার করে তাঁকে হত্যা করা। জেলেনস্কিকে হত্যা করতেই রাশিয়ার এই পদক্ষেপ বলে সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে।
তবে সেই সঙ্গে ওই ভাড়াটে খুনিদের আরও ২৩ জন সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম দেওয়া হয়েছে। তাদেরও জেলেনস্কির মতই হত্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থার দেওয়া এই তথ্য কিন্তু হৈচৈ ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এমনও বলা হচ্ছে যে পুতিনের রাঁধুনি বলে খ্যাত ইয়েভজেনি প্রিজোহিন এই ভাড়াটে সেনা আনার কাজ চালায়। আফ্রিকা থেকে এদের তুলে আনা হয় কিয়েভে পাঠানোর জন্য।
প্রসঙ্গত রাশিয়া যে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা চালাচ্ছে তা আগেই ইউরোপের অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। সেইসঙ্গে তিনি বারবার সদর্পে জানিয়ে এসেছেন, তিনি কিয়েভেই রয়েছেন। কোথাও পালিয়ে যাননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা