World

রাশিয়ার বিমান হানায় ধ্বংস ইউক্রেনের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য

রাশিয়া কবে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানো বন্ধ করবে সে বিষয়টি এখনও বিশবাঁও জলেই। সম্প্রতি রাশিয়ার বিমান হানায় ইউক্রেনের একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মস্থান অনেকটাই ধ্বংস হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অব্যাহত। এর জেরে বিপর্যস্ত ইউক্রেনের নিরীহ নাগরিকরা। রাশিয়ার বিমান হানার থেকে রেহাই মিলছে না ধর্মস্থানেরও।

সম্প্রতি রাশিয়া বিমান হানা চালিয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মস্থানে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৫০০-র বেশি নাগরিক।


বিমান হামলার পরে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। তবে রাশিয়া নির্বিচারে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে ওই মঠে আশ্রিতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে।

সম্প্রতি রাশিয়া পবিত্র ধর্মস্থান ডরমিশন স্বীয়াটোগ্রিস্ক লাভরা-তে সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ বিমান হানা চালানোর পরে মঠটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতায় মঠের জানলা দরজা ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিকটবর্তী একটি হোটেলও।


ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মঠে রাশিয়ার বিমান হানা সম্পর্কিত ঘটনাটি নিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। হামলার হাত থেকে বাঁচতে ওই মঠে অভিভাবকদের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল ২০০ শিশুও। মঠের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সিবারস্কাই ডোনেটস নদী। নদীর দিকে মঠে প্রবেশের দরজা। সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মঠের বিশপ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। বিশপ জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ শহরে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। পবিত্রস্থানও রাশিয়ার সেনাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়ার হামলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মঠটি শতাব্দী প্রাচীন। পনেরোশো শতকে এই মঠ তৈরি হয়েছিল। যার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।

বিমান হামলার পরে মঠে আশ্রিত হিসেবে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের আঘাত তেমন গুরুতর নয় তাঁদের প্রাথমিক শুশ্রূষার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button