বারুদের গন্ধ কাড়ছে সূর্যমুখীর ক্ষেত, তেলের জন্য হাহাকার
একটা যুদ্ধ যেটুকু উপহার দেয় তার নাম ক্ষতি। রাশিয়ার লাগাতার হানায় জ্বলছে ইউক্রেন। যার জেরে ইউরোপ জুড়ে শুরু হয়েছে ভোজ্য তেলের জন্য হাহাকার।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে নাকি করবে না তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলেছে। অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে রাশিয়া। আর এর প্রভাব পড়তে চলেছে গোটা বিশ্বজুড়েই।
ইউক্রেনে রাশিয়া একতরফা ভাবে আক্রমণ চালানোর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপ। কেননা ইউক্রেন থেকে এতদিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হত সূর্যমুখী তেল। সেই রফতানি প্রক্রিয়া ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে যুদ্ধের জেরে। ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দর এলাকায় রাশিয়া ব্যাপকভাবে হামলা চালানোর ফলে দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতি।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপে ভোজ্য তেল আমদানি করা সংস্থাগুলি। এই সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, ইউরোপের বাজারে ভোজ্য সূর্যমুখী তেলের টান পড়তে শুরু করেছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বর্তমানে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ইউরোপের বাজারে ইউক্রেন থেকে প্রতিমাসে ২০০০ টন সূর্যমুখী তেল রফতানি করা হত। যুদ্ধের ফলে এই সরবরাহ মার খেয়েছে ব্যাপকভাবে।
ইউরোপের চাহিদা অনুযায়ী ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ সূর্যমুখী তেল ইউক্রেন থেকে পাওয়া যেত এতদিন পর্যন্ত। এবার যুদ্ধের ফলে সেই প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কেননা এই সময়ে রাশিয়া হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনে। কয়েক ডজন পণ্যবাহী জাহাজ আটকে রয়েছে ইউক্রেনের নানা বন্দরে।
সূর্যমুখী তেলের জোগানের অভাবের ফলে ইউরোপ এখন কাজ চালাতে চাইছে রেপসিড তেল কিংবা সয়াবিন তেলকে বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা