World

ধ্বংস ইউক্রেনের যুদ্ধজাহাজ, বিমানবন্দর, পাল্টা রাশিয়ার ৫টি বিমান নামাল ইউক্রেন

যুদ্ধটা শুরু হয়েই গেল। আক্রমণ করার জন্য তৈরি ছিল রাশিয়া। অবশেষে সেই দিনটা এল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ ঘোষণা করলেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে।

ইউক্রেনে যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা জারি হয় স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২টায়। আর রাতেই রাশিয়ার যুদ্ধবিমান হামলা চালায় ইউক্রেনে ঢুকে।

রাতের আকাশে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয় রাশিয়া। বোমাবর্ষণ হয় ইউক্রেন সীমান্তের কাছের জায়গাগুলিতে। এমনও দাবি করা হয়েছে যে রাশিয়া ও বেলারুশ সব দিক থেকে ইউক্রেনকে আক্রমণ করা শুরু করেছে।


ইউক্রেন সেনাও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। ইউক্রেন দাবি করেছে তারা রাশিয়ার ৫টি যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করে দিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের বিমানবন্দরও। এছাড়াও বোমাবর্ষণ হয়েছে রাতভর। তাতে কত ক্ষয়ক্ষতি তা এখনও পরিস্কার নয়।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তা সুনসান। মাঝেমধ্যে কয়েকটা গাড়ি যাতায়াত করছে। মানুষ বাড়ি থেকে বার হচ্ছেন না। এদিকে রাশিয়ার তরফ থেকে ইউক্রেন সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। রাশিয়া এভাবে ইউক্রেনে হানা দেওয়ায় তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে আমেরিকা।


এদিকে রাশিয়ার তরফে কার্যত হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই যুদ্ধে কোনও দেশ যদি ইউক্রেনের পাশে থাকার চেষ্টা করে তাহলে তার ফল ভাল হবে না।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশ কিন্তু রাশিয়ার এই আগ্রাসী পদক্ষেপকে সমর্থন করছেনা। তবে এক্ষেত্রে ন্যাটো ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা মনে করছেন রাশিয়া এখন চিনকে পাশে পাচ্ছে।

চিন রাশিয়া সম্পর্ক ভাল হয়ে উঠেছে। সেখানে ভেটো দেওয়ার হলে চিন ও রাশিয়া ভেটো দেবে। ফলে নিরাপত্তা পরিষদ আর এগোতে পারবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button