ইউক্রেনের রাজধানীতে ঢুকে পড়ল রাশিয়ার সেনা, জারি প্রবল লড়াই
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। এবার কিয়েভে ঢুকেও পড়ল রাশিয়ার সেনা। এদিকে কিয়েভের মানুষজন এখন আতঙ্কে আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে।
রাশিয়ার পাখির চোখ এখন কিয়েভের ওপর পুরোপুরি দখলদারি। যেকোনও দেশই যুদ্ধে অন্যদেশের রাজধানীর ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চায়। এটা যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যপূরণের অন্যতম পদক্ষেপ। সেটাই করছে রাশিয়ার সেনা। তারা কিয়েভের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল আগেই। এবার ঢুকেও পড়ল কিয়েভে।
এদিকে কিয়েভ বাঁচাতে আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন সেনা। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সেনাকে ঠেকাতে তেতেরিভ নদীর ওপর একটি ব্রিজ নিজেরাই উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন সেনা।
রাশিয়ার সেনা অবশ্য এগিয়েই চলেছে। প্রচুর ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার নিয়ে এগোচ্ছে রাশিয়ার সেনা। কিয়েভের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয় বলে জানা যাচ্ছে।
বহু মানুষ কিয়েভের বিভিন্ন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে বিভিন্ন অট্টালিকার বেসমেন্টে পরিবার নিয়ে হাজির হয়েছেন। সেখানেই মেঝেতে চাদর পেতে প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই আতঙ্কের প্রহর গুনছেন।
তাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। কিয়েভের উত্তরপ্রান্তে প্রবল গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে শহরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। শিশুরা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধে ইউক্রেন সেনা এখনও একটি বিমানবন্দর দাঁত কামড়ে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একটি বার্তায় জানিয়েছেন তাঁকেই এখন ১ নম্বর টার্গেট করেছে রাশিয়া। তিনি কিয়েভেই রয়েছেন। তাঁর পরিবারও ইউক্রেনেই রয়েছে।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক দাবি করেছে তারা একটি রাশিয়ার যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে। ইউক্রেনের সহ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন রাশিয়ার সেনা যেভাবে ঢুকছে তাতে তারা শুক্রবারই হয়তো কিয়েভের পুরো দখল নিয়ে নেবে।
ইউক্রেন সেনা দাঁত কামড়ে লড়াই দিলেও রাশিয়ার সেনার সামনে তেমন কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছেনা। এদিকে রাশিয়া ও আমেরিকা ২টি দেশই এই ইস্যুতে নিজেদের পক্ষে ভারতের সমর্থন চেয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা