এই হয়তো শেষ দেখা, বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির গলায় স্পষ্ট হতাশার সুর। অন্তত সেটাই ফুটে উঠেছে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি রাশিয়ার প্রথম টার্গেট।
রাশিয়ার সেনা ইউক্রেনে দ্রুত প্রবেশ করছে। ইতিমধ্যেই ২০০-র ওপর ইউক্রেন সেনার প্রাণ গেছে। আহত প্রায় ৪০০ সেনা। এদিকে বিভিন্ন শহরে বহু বাড়ি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পথেঘাটে ধ্বংসলীলার তাজা ছবি ছড়িয়ে আছে। ক্ষয়ক্ষতি এখনও স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের আকাশে এখন রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের দাপট। এরমধ্যেই রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে সাধারণ মানুষকেও অস্ত্র তুলে নিতে বলেছে ইউক্রেন প্রশাসন।
এমনকি সাধারণ মানুষকে মোলোটভ ককটেল বোমা বাড়িতে বানিয়ে ফেলার উপায়ও জানানো হয়েছে। যাতে রাশিয়ার সেনাকে প্রতিহত করা যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছিলেন তিনিই রাশিয়ার প্রথম টার্গেট। দ্বিতীয় টার্গেট তাঁর পরিবার। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন যে তিনি কিয়েভেই রয়েছেন।
তিনি যে পালাবেন না তা সেখানেই পরিস্কার করে দেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এবার বন্ধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জেলেনস্কি।
ইজরায়েলের একটি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে সেই অনলাইন বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সকলকে জানিয়েছে এই ভিডিও কলে দেখাই হয়তো তাঁকে জীবিত অবস্থায় শেষ দেখা। কার্যতই হতাশার সুর ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের গলায় স্পষ্ট।
জানা যাচ্ছে রাশিয়া নাকি চেচেন বিশেষ বাহিনী হান্টার-দের হাতে কয়েকজন ইউক্রেনের সরকারি আধিকারিকের ছবি তুলে দিয়েছে। এদের আটক করতে না পারলে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের।
এদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হানা অব্যাহত রয়েছে। মানুষ প্রাণহানির ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। সঙ্গে যোগ দিয়েছে প্রবল ঠান্ডায় খাবারের অভাব। সমস্যা হচ্ছে পানীয় জল নিয়েও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা