একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় জেরবার রেলমন্ত্রক। বারবার সমালোচনার মুখে রেলের ব্যর্থতা। এসব কথা মাথায় রেখে এবার বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পেল যাত্রী সুরক্ষা। ১৯২৪ সালে শেষ বার একসঙ্গে পেশ হয়েছিল দেশের রেল ও সাধারণ বাজেট। ব্রিটিশ আমলের সেই বাজেটের ৯২ বছর পর এবার ফের রেল বাজেট পেশ হল সাধারণ বাজেটের সঙ্গে। অর্থমন্ত্রীই ঘোষণা করেন রেল বাজেটের। যাত্রী সুরক্ষায় রেল রক্ষা কোষ গড়বে রেলমন্ত্রক। আগামী ৫ বছরের জন্য যেখানে ব্যয়বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা। রেলের উন্নয়নেও জোর দেওয়া হয়েছে। ৫০০টি রেল স্টেশনকে প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের আওতায় ২০১৯-এর মধ্যে সব ট্রেনে বায়ো টয়লেটের বন্দোবস্ত করা হবে। এছাড়া টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অনলাইনে আইআরসিটিসি থেকে টিকিট কাটলে এবার থেকে আর কোনও সার্ভিস চার্জ লাগবে না। তাছাড়া আইআরসিটিসির মত সংস্থাকে এবার থেকে শেয়ার বাজারে যুক্ত করার কথাও প্রস্তাবে দিয়েছেন অথর্মন্ত্রী। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সব প্রহরাহীন লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া হবে বলেও এদিন বাজেট প্রস্তাবে জানান অর্থমন্ত্রী। এছাড়া কোচ মিত্র সুবিধার মাধ্যমে রেলের কোচ সম্বন্ধীয় সমস্যার কথা জানাতে পারবেন যাত্রীরা। পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী। এদিন মেট্রো রেলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করেছেন অরুণ জেটলি। একটি নতুন মেট্রো রেল পলিসির প্রস্তাব করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে মেট্রোর নির্মাণ ও পরিচালনে পিপিপি মডেলের প্রস্তাব করা হবে। ফলে মেট্রোর আংশিক বেসরকারিকরণের কথা এদিন বাজেটে ছুঁইয়ে রেখেছেন তিনি। আগামী আর্থিক বছরে রেলের উন্নয়নে বাজেটে ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।