সামনেই ৫ রাজ্যে ভোট। সেকথা মাথায় রেখে ওই রাজ্যগুলিকে সরাসরি কিছু না পাইয়ে দিয়েও সেখানকার সিংহভাগ ভোটব্যাঙ্কের জন্য সুকৌশলে বাজেটে কৃষি ও গ্রামীণ ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছেন অরুণ জেটলি। ১০ লক্ষ টাকা কৃষি ঋণের সুযোগ তৈরি করেছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে ৬০ দিনের জন্য কৃষি ঋণের ওপর সুদ মকুবের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া কৃষি জমির পরীক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সরকার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। মাইক্রো ইরিগেশনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে নাবার্ড। ফসল বীমা যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামের কাঁচা বাড়ি পাকা করতে ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১ মে ২০১৮ সালের মধ্যে দিনদয়াল উপাধ্যায় যোজনায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস বাজেটে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামীন এলাকায় সুরক্ষিত পানীয় জলের জন্য ন্যাশনাল রুরাল ড্রিঙ্কিং প্রোগ্রামকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ১০০ দিনের কাজেও ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এবার তা করা হয়েছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এই কাজে মহিলাদের জন্য ৫৫ শতাংশ সুযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। গ্রামের গৃহহীনদের জন্য ১ কোটি ঘর বানানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে। এছাড়া দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।