ভারত এখনও কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে শহরের বাসিন্দা নগণ্যই। তাই শহরের ভোট নয়, গ্রামের ভোট যাঁর পকেটে, তিনিই এখানে শাসনভার সামলাবেন। সেকথা বিলক্ষণ জানে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজেটে গ্রামের মানুষের মন ভরাতে কসুর করলেন না অর্থমন্ত্রী। এদিন গ্রামের জন্য কার্যতই কল্পতরুর ভূমিকায় দেখা গেছে অর্থমন্ত্রীকে। তবে এটাও ঠিক, কারণ যাই হোক, গ্রামীণ উন্নয়নে কেন্দ্র এদিন বাজেটে যা বলল তা বাস্তবায়িত হলে গ্রামের মানুষের প্রভূত উপকার হবে। যা অবশ্যই কাম্য। যদিও এসব ভোট বাক্সের জন্য মনভোলানো কথা বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।
বাজেটে খরিফ শস্যে কৃষকের প্রাপ্য ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য তার উৎপাদন মূল্যের দেড় গুণ করা হয়েছে। এই সুবিধা কৃষকের ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। এছাড়া কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকে মাথায় রেখে ‘অপারেশন গ্রিন’ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। যার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কৃষির পরিকাঠামো ও বাজারকে শক্তিশালী করতে আরও ২০০০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। ফিশারি ও অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড বাবদ বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া পশুপালনের পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা। বাঁশকে এদিন ‘সবুজ সোনা’ বলে ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বাঁশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।