ইউনিয়ন বাজেটের আগে আমজনতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচ্য বিষয়বস্তু হয় আয়করে ছাড়। ছাড়ের অঙ্ক ঠিক কত হবে তা নিয়ে হিসেব নিকেশ চলতে থাকে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এবার আবার ছিল মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ। ফলে মধ্যবিত্তের মন রাখতে ব্যক্তিগত আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা আরও বাড়বে বলে অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন সকলে। এদিন বাজেট পেশের সময় আয়কর প্রদান নিয়ে বলতে গিয়ে শুরুতে আয়করদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রের সবচেয়ে স্বচ্ছ আয়কর প্রদান চাকুরীজীবীরাই করে থাকেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ফলে তার একটা পুরস্কার পাওয়া নিশ্চিত জেনে আশায় বুক বাঁধছিলেন সকলে। কিন্তু তারপরই অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন আয়করে কোনও ছাড় মিলছে না। ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিতই থাকছে। তবে সান্ত্বনা পুরস্কারের মত অর্থমন্ত্রী এবার ফিরিয়ে এনেছেন ‘স্যান্ডার্ড ডিডাকশন’।
কংগ্রেস আমলে উঠে যাওয়া এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের আওতায় বেতনের ওপর ৪০ হাজার টাকা বাদ দিয়ে আয়কর প্রদান করতে হবে চাকুরীজীবীদের। যা হিসেবে নেহাতই নগণ্য সুবিধা দিতে পারে। বরং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাড়তি সেসের বোঝা মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে সেস ১ শতাংশ করে বাড়ানোর কথা এদিন ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে সেস বেড়ে ৩ শতাংশ থেকে দাঁড়াল ৪ শতাংশে। যা স্বস্তি দেওয়া দূরে থাক বরং বাড়তি বোঝা বাড়াল সকলের ঘাড়ে।