প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আজকের নয়। ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পাঠিয়ে পড়ানোয় জোর দেন অভিভাবকরাও। ভাল কেরিয়ারের জন্য বিদেশে পড়াশোনা করায় জোর দেন তাঁরা। বিদেশে শিক্ষার মানও অনেক ভাল বলে সন্তানদের বিদেশে পাঠানো দরকার বলে মনে করেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে উল্টো ধারা শুরু করার পথে হাঁটল মোদী সরকার।
বাজেটে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ নামে একটি নতুন প্রকল্প চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভারতে এসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার প্রতি জোর দেওয়া। এজন্য দেশে আরও বেশি করে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দরকার। সেই লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে ৪০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া দেশের পড়াশোনার ধরনে বদলে আনা, শিক্ষায় গবেষণা ও আবিষ্কারে বেশি জোর দেওয়াকে সামনে রেখে চালু হচ্ছে নিউ ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি।
ভারতে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল ট্রেনিং বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা বন্দোবস্তকেও বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে মোদী সরকার। বিদেশে গিয়েও যাতে ভারতীয় যুবক যুবতীরা কাজ করতে পারেন সেজন্যও তাঁদের নানা ভাষা শিক্ষা, রোবোটিক্স, থ্রিডি প্রিন্টিং সহ নানা প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় ব্যাঙ্ক থেকে ব্যবসার জন্য প্রয়োজন ভিত্তিক ঋণের সুবিধা থেকে যাচ্ছে।
ক্রীড়াক্ষেত্রে এখন ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে ভাল ফল করছে। শুধু ক্রিকেট বলেই নয় অন্যান্য খেলাতেও ভাল ফল করছে ভারত। বাজেটে এবার ক্রীড়া ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া স্কিম-এর আওতায় ভারতীয় ক্রীড়ার উন্নতিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া একজন ক্রীড়াবিদকে আর সম্পূর্ণ করে তৈরি করতে ন্যাশনাল স্পোর্টস এডুকেশন বোর্ড তৈরি করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে দেশের নতুন প্রজন্মকে খেলায় উৎসাহ দেওয়াতেও।