অপরিশোধিত তেলের দাম এখন কিছুটা কমেছে। এই দাম কমা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে সুযোগ দিয়েছে অন্তঃশুল্ক ও সেস বসানো নিয়ে ভাবার। তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেটে ১ টাকা করে সেস ও অন্তঃশুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। ফলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ২ টাকা করে বৃদ্ধি পেল। এক ধাক্কায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা করে বেড়ে যাওয়া অবশ্যই গাড়ি বা জ্বালানি তেল চালিত বাহন মালিকদের জন্য বাড়তি বোঝা। এটা গেল প্রত্যক্ষ প্রভাবের কথা। অন্যদিকে পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কিন্তু পরোক্ষ প্রভাবও রয়েছে। সেটাই বেশি চিন্তার।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়া মানে আদপে সব জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। কারণ সে আনাজ হোক বা শস্য, ডাল হোক বা ডিম-মাছ। আবার মানুষের অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি সবই আসে পরিবহণে ভরসা করে। আর সেই ট্রাক বা লরি চলে জ্বালানি তেলে। সেই তেলের দাম বাড়লে পরিবহণের খরচ বাড়ে। যা আমজনতার ঘাড়েই এসে পড়ে। ফলে বাজারে দাম বাড়ার জন্য দেশবাসীকে তৈরি হয়তো থাকতেই হবে। শেষ কয়েকমাসে পেট্রোল ও ডিজেলের দামটা বেশ খানিকটা কমেছিল। ফলে স্বস্তি পেয়েছিলেন আমজনতা। সেই স্বস্তি কিন্তু বেশিদিনের জন্য স্থায়ী হল না। এখন যা পরিস্থিতি তাতে এবার বাস, ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধির দাবিও জোড়াল হল। আর তা বাস্তবায়িত হলে নিত্য যাতায়াতের জন্য বাড়তি ভাড়া গুনতে হতে পারে দেশের আমজনতাকে।
জ্বালানির সঙ্গে সঙ্গে সোনা সহ অন্যান্য দামি ধাতুর ওপর অন্তঃশুল্ক বৃদ্ধি করছে কেন্দ্র। বাজেটে সেই ঘোষণা রয়েছে। এতদিন সোনা ও দামি ধাতুর ওপর অন্তঃশুল্ক পড়ত ১০ শতাংশ। বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২.৫ শতাংশ। ফলে সোনা ও দামি অন্য ধাতুর দাম যে বাজারে বাড়তে চলেছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।