গ্রিন টেকনোলজি কাজে লাগিয়ে দেশ জুড়ে ৩০ হাজার কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণের কথা বাজেটে জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সড়ক নির্মাণে কার্বনের ব্যবহার কমাতে এই গ্রিন টেকনোলজির দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক ও কোল্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে। নতুনভাবে তৈরি হবে রাস্তা। এছাড়া ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সড়ক উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।
নদীপথে যাতায়াত আরও সুগম করতে চাইছে কেন্দ্র। বাজেটে জল মার্গ বিকাশ যোজনায় জোর দেওয়া হয়েছে। গঙ্গায় যাতায়াত সুগম করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ায় তৈরি হচ্ছে মাল্টি মোডাল টার্মিনাল। এছাড়া ফারাক্কায় তৈরি হচ্ছে নেভিগেশনাল লক। গঙ্গার জলপথ কাজে লাগিয়ে ৪ গুণ বাড়ানো হচ্ছে পণ্যবাহী জাহাজের আনাগোনা। এছাড়া যাত্রী পরিবহণেও জোর দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে জলপথকে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র।
রেলপথকে ঢেলে সাজাতে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কেন্দ্র ৫০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। পিপিপি মডেলে রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। সারা দেশে ৬৫৭ কিলোমিটার মেট্রো রেল পথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া রেলের স্টেশনের আধুনিকীকরণেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। রেলের ভাড়া নিয়ে অবশ্য বাজেটে কোনও উল্লেখ ছিলনা। আগামী দিনে তা বাড়ছে না কমছে তা পরিস্কার হল না সাধারণ মানুষের কাছে। এটা অবশ্য খুবই জরুরি। আগে রেল বাজেট আলাদা করে হত। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেল বাজেটকে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ বাজেটের মধ্যেই রেল বাজেটের বিভিন্ন দিকের উল্লেখ থাকে। তবে আগে যেমন বিস্তারিতভাবে থাকত তা কমেছে। নতুন ট্রেনের কথাও বড় একটা থাকেনা। কটা নতুন ট্রেন হচ্ছে আর ভাড়ায় কী পরিবর্তন হচ্ছে। এগুলিই ছিল মূল জানার বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে। এদিন সে বিষয়গুলির কোনও উল্লেখ কিন্তু বাজেটে মেলেনি।