
এখন আর রেল বাজেট আলাদা করে হয়না। একসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাজেটের মধ্যেই ঢুকে যায় রেল বাজেট। রেল বাজেটে এবার জোর দেওয়া হয়েছে কিছু বিষয়ে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এদিন বাজেট পেশ করতে গিয়ে বলেন, লাইনের ধারে যে ফাঁকা জমি পড়ে থাকে, যা রেলের সম্পত্তি, সেখানে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। মুম্বই ও আমেদাবাদের মধ্যে যে হাইস্পিড ট্রেনের বন্দোবস্ত হচ্ছে তার কাজ আরও তরান্বিত করা হবে।
পর্যটনে জোর দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখে আগেই শোনা গেছে। এবার ভারতীয় রেলের ‘তেজস’ ট্রেনগুলিকে বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রের মধ্যে চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তেজস-এর সংখ্যা বাড়িয়ে আরও বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রের মধ্যে রেল রুটে যোগাযোগ বাড়ানো হবে। বেঙ্গালুরুর আশপাশে যাতায়াতের জন্য মেট্রো মডেলে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে রেলের উন্নয়নে। ৪টি স্টেশনকে পিপিপি মডেলে গড়ে তোলা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ১৫০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পরিচালনা পিপিপি মডেলে করা হবে বলে জানান তিনি। ফলে দেশের অনেকগুলি ট্রেনের পরিচালন ভার যে বেসরকারি হাতে যেতে চলেছে তা স্পষ্ট।