
এতদিন কেবল নিম্নবর্ণের জন্যই সংরক্ষণ দেখেছে ভারত। সে চাকরি হোক বা শিক্ষাক্ষেত্র। সর্বত্রই ‘কোটা’ আলাদা ছিল নিম্নবর্ণের জন্য। এসটি, এসটি ও ওবিসি। এই ৩ ক্যাটাগরিতে সংরক্ষিত হত শতাংশের হিসাবে আসন। এর বাইরে যা থাকত তা জেনারেল ক্যাটাগরি বা তথাকথিত উচ্চবর্ণের জন্য। এবারে সেই ভাবনায় বদল আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সোমবার তাঁর নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকে উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ আসন চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ করায় সবুজ সংকেত দিল। এবার এটি লোকসভায় পেশ করে সংবিধান সংশোধনের মধ্যে দিয়ে পাশ করাতে হবে। এরফলে উচ্চবর্ণ যেমন, ব্রাহ্মণ, বণিক, ঠাকুর, জাঠ, গুজ্জরের মত বর্ণের মানুষজন উপকৃত হবেন। সেইসঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন মুসলিম ও খ্রিস্টানরা। উচ্চবর্ণের জন্য এই সংরক্ষণ কিন্তু এসটি, এসটি ও ওবিসি-দের জন্য নির্দিষ্ট ৫০ শতাংশ আসনে প্রভাব ফেলবে না।
এক্ষেত্রে ২টি মোক্ষম চাল চাললেন নরেন্দ্র মোদী। তথাকথিত উচ্চবর্ণের কোটা নিয়ে দীর্ঘকালের ক্ষোভের আগুনে জল ঢাললেন তিনি। ফলে উচ্চবর্ণের মানুষজন খুশি হবেন। যা ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের কার্যত দোরগোড়ায় এসে অবশ্যই বিজেপির জন্য ভাল। অন্যদিকে এমন একটি ক্ষেত্রে এই কোটা চালু হল যাতে বিরোধীরাও না করতে পারবেননা। সেক্ষেত্রে উচ্চবর্ণের ভোট হারানোর আতঙ্ক থাকবে।
যদিও এদিন মোদী মন্ত্রিসভা এও পরিস্কার করে দিয়েছে যে উচ্চবর্ণের মানুষের জন্য এই সংরক্ষণ কিন্তু কেবল অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ যে পরিবারের রোজগার বছরে ৮ লক্ষ টাকার কম এবং যাঁদের ৫ একর-এর চেয়ে কম জমি আছে তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)