দ্বিতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলের আলোয় রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫৭ জন পূর্ণ ও প্রতিমন্ত্রী শপথবাক্য পাঠ করেন। শপথ গ্রহণ করে এই প্রথম মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন অমিত শাহ। এছাড়া রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমন, স্মৃতি ইরানি, প্রকাশ জাভড়েকর সহ মোট ৫৭ জন মন্ত্রী এদিন শপথ নেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হতে সন্ধে নেমে যায়। অনেকে শপথগ্রহণের সময় ঠিকমত শপথবাক্য পাঠ না করতে পারলে তাঁকে শুধরে দেন রাষ্ট্রপতি নিজে।
শপথগ্রহণেই পরিস্কার হবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কতজন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন। ২০১৪ সালে রাজ্য থেকে ২টি আসন ছিল বিজেপির। ২ জনই মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার তাদের আসন সংখ্যা ১৮। ফলে এবার অনেকগুলি মন্ত্রী এ রাজ্য থেকে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বোঝা যায় রাজ্য থেকে ২ জনকেই মন্ত্রী করা হয়েছে। বাবুল সুপ্রিয়কে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রমন্ত্রীর মর্যাদা। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পদ। তবে তাঁরা ঠিক কোন মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন তা পরিস্কার নয়।
এদিন ঝলমলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সহ বিদেশের অনেক নামীদামী অতিথি। এছাড়া দেশের অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন রতন টাটা, মুকেশ আম্বানির মত দেশের প্রথমসারির শিল্পপতিরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অনেক বিজেপি কর্মী। যাঁদের হর হর মহাদেব ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চত্বর। বিশেষত যখন প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ করতে ওঠেন তখন তাঁরা সমস্বরে হর হর মহাদেব ধ্বনি দেন। উপস্থিত ছিলেন শহিদ পরিবারের লোকজন। হাজির ছিলেন বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি বলে যাঁদের বিজেপি দাবি করেছে তাঁদের পরিবারের লোকজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা