নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে সংসদে এই বিল পেশে আর সরকারের কোনও সমস্যা রইল না। এই বিল নিয়ে আগেই অনেক বিতর্ক তৈরি হয়ে আছে। বিরোধীরা কেউই এই বিলে সহমত নন। সেক্ষেত্রে লোকসভায় যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা সরকারের থাকায় বিলটি পাশ হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু তা রাজ্যসভা পাশ করাতে বেগ পেতে হতে পারে কেন্দ্রকে। কারণ সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আর রাজ্যসভার সব বিরোধী দল এক্ষেত্রে এককাট্টা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বদল আনার জন্যই আনা হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে সেখানকার সংখ্যালঘুরা অর্থাৎ হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষজন ভারতে ৬ বছর কাটালেই এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। ১২ বছর থেকে কমিয়ে এই সময়সীমা ৬ বছর করার প্রস্তাব রয়েছে বিলে। তবে এই বিল নিয়ে তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস সহ অনেক বিরোধী দল। তাদের দাবি এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করা যায়না।
এনআরসি নিয়ে একটা আতঙ্ক রয়েছে মানুষের মধ্যে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এনআরসি-র আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হবে বলেও জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেইমতই এগোচ্ছে সবকিছু বলে মনে করছেন অনেকে। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আরও একটি বিষয় সামনে আসছে। অসমে এনআরসি-র পর তালিকা থেকে বাদ পড়া হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিতেই এই বিল আনতে তৎপর কেন্দ্র বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা