মন্ত্রিসভায় পুরনোতেই শান্তনু ঠাকুর, সুকান্ত পেলেন জোড়া দায়িত্ব
মোদী মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে ২ জন মন্ত্রী হয়েছেন। ২ জনই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। সুকান্ত মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে জোড়া দায়িত্ব।
পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯-এর সাপেক্ষে বিজেপির ফলাফল খারাপ হয়েছে। ১৮টি থেকে নেমে ২০২৪ সালে প্রাপ্তি ১২টি আসন। তবে ১২টি আসন থাকলেও বাংলা থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী বা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়নি নতুন মন্ত্রিসভায়।
বাংলা থেকে ২ জন বিজেপি সাংসদ মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন ঠিকই, তবে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অবশ্য মোদী মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় দফাতেও মন্ত্রী ছিলেন। বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন দ্বিতীয় দফায়। এবার তৃতীয় মোদী মন্ত্রিসভাতেও তিনি একই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রয়ে গেলেন।
শান্তনু ঠাকুর বিজেপি মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ না হলেও এবার বালুরঘাট থেকে জয়ী বিজেপি সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ। তিনি পেয়েছেন আবার জোড়া দায়িত্ব।
শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। আবার তাঁকে উত্তরপূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। ফলে মন্ত্রিসভায় নতুন এসেই ২টি দায়িত্ব পেলেন সুকান্ত মজুমদার।
অবশ্য এই গুরুদায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে হবে। কারণ বিজেপির দলীয় নিয়মেই তিনি আর এই দায়িত্বে থাকতে পারবেননা। ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নতুন সভাপতি খুঁজতে হবে গেরুয়া শিবিরকে।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতির দায়িত্বে থাকা দিলীপ ঘোষের জায়গায় সুকান্তকে দায়িত্ব দেয় বিজেপি। তারপর থেকে তিনি সেই দায়িত্ব সামলে এসেছেন।
এখন বিজেপি কি ফের দিলীপ ঘোষকেই ফেরাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের দলীয় সভাপতি পদে? নাকি অন্য কাউকে বেছে নেবে তারা? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপির অন্দরমহলেও।