SciTech

ভবিষ্যতে দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছতে বড় পদক্ষেপ নিল সরকার

ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান এখন দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছে। সেই গতি আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই ছুটে চলার পথকে সুগম করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

মহাকাশে একের পর এক সাফল্য ভারতকে এখন হাতেগোনা কয়েকটি দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে। স্পেস ডকিংয়ে সফল হয়ে ভারত মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বে প্রথমসারিতে পড়ছে। কার্যত আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্বে ভারতই সেরা।

২০৩৫ সালে ভারত তার নিজের স্পেস স্টেশন ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে। ২০৪০ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারত।


মহাকাশ বিজ্ঞানে এভাবে দুর্বার গতিতে ছুটে চলা ভারতের জন্য দরকার এই সাফল্যের দৌড়কে ধরে রাখতে উপযুক্ত পরিকাঠামো। কারণ আগামী দিনে ভারত থেকে মহাকাশে আরও বেশি করে মহাকাশযান ছুটে যাবে।

অনেক ভারী ও শক্তিশালী রকেট উড়ে যাবে অন্তরীক্ষে। সেকথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তৃতীয় লঞ্চপ্যাড গঠনে সবুজ সংকেত মিলেছে।


এটি তৈরি করতে খরচ পড়বে ৩৯৮৪.৮৬ কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের অর্থব্যয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে গড়ে উঠবে তৃতীয় লঞ্চপ্যাড। যেখান থেকে আগামী দিনের অনেক বেশি শক্তিধর সব রকেট উড়ে যেতে পারবে আকাশে।

এখন ভারতের ২টি লঞ্চপ্যাড রয়েছে। প্রথমটি তৈরি হয়েছিল ৩০ বছর আগে। পিএসএলভি রকেট পাঠানোর কথা মাথায় রেখে সেটি তৈরি হয়।

২০ বছর আগে কার্যকরি হয় দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড। যা জিএসএলভি-কে মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম। কিন্তু আগামী দিনে নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকলস বা এনজিএলভি পাঠাতে হবে আকাশে। তার জন্য পুরনো ২টি লঞ্চপ্যাড সেভাবে সক্ষম নয়।

তাই তৈরি হবে এই তৃতীয় লঞ্চপ্যাডটি। আগামী ৪ বছরের মধ্যে লঞ্চপ্যাডটি তৈরি হয়ে যাবে। যা তৈরি হলে ভারতের মোট লঞ্চপ্যাড সংখ্যা দাঁড়াবে ৩টি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button