বড়লোকের আজব খেয়াল, তাঁর নাম দেখা যায় মহাকাশ থেকেও
বড়লোকদের খেয়াল খুশি বোঝা দায়। যেমন একজন তাঁর নাম যাতে মহাকাশ থেকেও পড়া যায় তার ব্যবস্থা করলেন। নামের মধ্যে ঢুকে পড়ে জোয়ারের জল।
ধনী মানুষজন এ পৃথিবীতে তাঁদের একটা আলাদা ছাপ রেখে যেতে পছন্দ করেন। এমন কিছু করে রেখে যেতে চান যা চিরকাল মানুষকে অবাক করবে। যেমন আবুধাবি-র অতি ধনী ব্যক্তি হামাদ বিন হামদান আল নাহান।
তিনি পার্সিয়ান গালফ-এ একটি দ্বীপের মালিক। সে দ্বীপ তাঁর। সেই দ্বীপে আর কিছু না থাকলেও আছে একটা নাম। যে নাম মহাকাশ থেকেও স্পষ্ট দেখা যায়।
কি নাম? আর কারও নাম নয়, মালিকের নিজের নামই সেখানে লেখা আছে। তবে পুরোটা নয়। কেবল হামাদ কথাটা ইংরাজিতে লেখা।
এইচএএমএডি। বড় হাতের লেখায় এই ইংরাজির পাঁচটি অক্ষর এমন অতিকায় করে দ্বীপ জুড়ে লেখা আছে যে এতবড় করে লেখা নাম আর পৃথিবীতে কোথাও লেখা নেই।
দ্বীপ মানেই তো চারধারে জল। মাঝে দ্বীপ। ফুতাইসি নামে সেই দ্বীপ জুড়ে শুধু ছড়িয়ে আছে ধুধু প্রান্তর আর বালি। তার মাঝেই এমনভাবে খোদাই করে নাম লেখা হয়েছে যে বালি উড়ে তার ওপর পড়লেও কখনও নামটা বালির নিচে হারিয়ে যায়না।
বরং সেখানে অন্য এক ঘটনা ঘটে। মাঝেমধ্যে বালির রংয়ের খোদাই নামটার এম পর্যন্ত লাগোয়া সমুদ্রের জলের রংয়ের হয়ে যায়। যখনই জোয়ার হয় তখন জোয়ারের জল ওই খোদাই করা নামের খাঁজে ঢুকে পড়ে জলে ভরিয়ে দেয়। তখন নামের অর্ধেক সবজে জলের রংয়ের হয়ে যায়। বাকিটা থাকে মেটে রংয়েই।