আগামী ১৯ জুন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। ব্রাসেলসে হতে চলা সেই চূড়ান্ত পদক্ষেপের আগেই কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির থেরেসা মে সরকার এতদিন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধরে রাখার পর এবারের ভোটেও ফেভারিট ছিল। সকলেই মনে করছিল এবারও থেরেসা সরকারই পেতে চলেছে ব্রিটেন। কিন্তু ৬৫০ আসনের ব্রিটেনে থেরেসা মে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কিছুটা পিছনে শেষ করলেন। ভোটে থেরেসার কনজারভেটিভদের দখলে এসেছে ৩১৮টি আসন। যেখানে নিরঙ্কুশ হত ৩২৬টা পেলেই। অন্যদিকে চরম বামপন্থি হিসাবে পরিচিত ব্রিটেনের লেবার পার্টি পেয়েছ ২৬১টি আসন। ফলে হাসি ফুটেছে লেবার নেতা জেরেমি করবিনের মুখে। বেজায় খুশি ৬৮ বছরের এই রঙিন রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তাদের দখলে গেছে ৩৫টি আসন। লিবারাল ডেমোক্র্যাট দল পেয়েছে ১২টি আসন। ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি পেয়েছে ১০টি আসন। ভারতীয় রাজনীতি হলে ঘোড়া কেনাবেচার একটা প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারত। সেখানে ৩১৮-এ থাকা কনজারভেটিভ হয়তো কোনও ব্যবস্থা করলেও করতে পারত। কিন্তু ব্রিটেনের রাজনীতি অন্যরকম। সেখানে এই অবস্থায় ত্রিশঙ্কু সরকার হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্তে থেরেসা মে-র একাধিপত্য চলবে না। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল ব্রিটেনের ব্রেক্সিট প্রসঙ্গ।