৫৫ কেজি ওজনের ফিশ অ্যান্ড চিপস বানিয়ে গিনেস বুকে উঠল নাম
মাছের গুণগ্রাহী ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। সে কথা মাথায় রেখে মাছ দিয়ে বিশাল আকৃতির খাবার তৈরি হল। কয়েকজন মিলেও এই খাবার সাবড়ে দেওয়া অসম্ভব।
কে বলে বাঙালি একাই শুধু মৎস্যলোভী। জলমহলের সুস্বাদু এই জীবের গুণগ্রাহী ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই মাছ দিয়ে বিশাল আকৃতির খাবার বানাল এক সংস্থা।
অবশ্য কয়েকজন মিলে সেই খাবার সাবড়ে দেওয়ার কথা ভুলেও ভাববেন না। কারণ, মাছের স্বাদে ভরপুর সেই খাবারের চেহারা পেল্লায়। ওজন ৫৫ কেজি।
খাবারটি যদিও ভারতের কোনও খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা তৈরি করেনি। লোভনীয় দানবীয় সেই খাবারে দাঁত বসাতে গেলে বাঙালিকে পাড়ি দিতে হবে সুদূর ব্রিটেনে।
সেখানে রিসর্টস ওয়ার্ল্ড বার্মিংহাম নামে একটি বিখ্যাত খাবারের দোকানের রাঁধুনিরা বানিয়েছেন সুস্বাদু খাদ্যটি। যা ইতিমধ্যে নামও তুলে ফেলেছে গিনেস বুকে। বিশ্বের সবথেকে বড় ‘ফিশ অ্যান্ড চিপস’-এর সৃষ্টিকর্তা সংস্থাটির নাম এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর খাতায় জ্বলজ্বল করছে।
আজকের যুগে অধিকাংশ মানুষের রসনা তৃপ্ত হয় চটপটা খাবারে। ফিশ অ্যান্ড চিপস সেই সমস্ত খাবারের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে এই খাবারের তুমুল চাহিদা।
সেই কথা মাথায় রেখেই ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাতা খুন্তি হাতে রন্ধনশালায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েন বার্মিংহাম দোকানের রাঁধুনিরা। ফিশ অ্যান্ড চিপসকে মনের মত চেহারায় নিয়ে আসতে কালঘাম ছুটে যায় তাঁদের।
প্রথমে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের বুক থেকে তুলে আনা হিপ্পোগ্লসাস নামের সামুদ্রিক মাছকে ফুটন্ত তেলে নিখুঁত করে ভাজেন তাঁরা। বিশেষ ‘ব্যাটার’ আর রাশি রাশি মুচমুচে ‘চিপস’ দিয়ে সবশেষে ঢেকে ফেলা হয় ভাজা মাছের সারা শরীর।
২ ঘণ্টার শ্রমের সেই ফসলের তারপর ওজন নেন গিনেস বুকের কর্তাব্যক্তিরা। ওজন হয় ৫৪.৯৯ কেজি! অগত্যা খেতাব পকেটে। পূর্বের রেকর্ডের চেয়ে ৭ কেজি বেশি ওজনের ফিশ অ্যান্ড চিপস বানিয়ে সর্ববৃহতের শিরোপা পকেটে পোরেন তাঁরা।
খেতাব জয়ের পর যদিও খাবারটিকে আলমারিতে তুলে রাখেনি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। অতিকায় ‘ফিশ অ্যান্ড চিপস’-কে ভাগ বাঁটোয়ারা করে বিলিয়ে দেওয়া হয় দোকানের ক্রেতাদের মধ্যে।
এর আগেও একবার মহা সমারোহের সাথে বানানো হয়েছিল ৪৭.৭৫ কেজি ওজনের ফিশ অ্যান্ড চিপস। বিশালাকার লোভনীয় খাবারটি বানিয়েছিল লন্ডনের ‘ফিশ অ্যান্ড চিপস’ কোম্পানি। তাদেরকে এবার টেক্কা দিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ল রিসর্টস ওয়ার্ল্ড বার্মিংহাম।