মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন আলো, আলোয় হারিয়ে যায় ঘোর কালো
সৌরমণ্ডলের বাইরেও বহু নক্ষত্রপুঞ্জ ছড়িয়ে আছে মহাকাশে। যার সামান্য কয়েকটিরই খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানেই এমন কিছু ঘটে যা এবার বিজ্ঞানীদের নজরে এল।
মহাবিশ্বে অগুনতি নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে। যেখানে অনেকগুলি সূর্য অবস্থান করছে। সেই নক্ষত্রপুঞ্জের মাঝখানে থাকে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল। নিকষ কালো সেই ব্ল্যাকহোলের ভিতরে কিছু দেখা যায়না। সেখানে একাধিক সূর্যও হারিয়ে যেতে পারে।
নক্ষত্রপুঞ্জের সেই ব্ল্যাকহোলও যে হারিয়ে যেতে পারে আর তার পিছনে নক্ষত্রপুঞ্জেরই হাত থাকে তা এবার জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।
নক্ষত্রপুঞ্জে প্রচুর গ্যাস ও ধুলোর সৃষ্টি হয়। তার পরিমাণ এতটাই বিশাল যে তা ভাবনার অতীত। এসব তৈরি হয় নতুন নক্ষত্র সৃষ্টি বা কোনও পুরনো নক্ষত্রের জীবনকাল শেষ হওয়ার সময়।
সেই বিপুল পরিমাণ গ্যাস ও ধুলো ওই নক্ষত্রপুঞ্জে এক আস্তরণ তৈরি করে। যা ঢেকে ফেলে নক্ষত্রপুঞ্জের মাঝখানে থাকা কৃষ্ণগহ্বর বা কোয়াজারকে।
এই গ্যাস ও ধুলোর কুণ্ডলী গোলাকার ভাবে ঢেকে ফেলে কৃষ্ণগহ্বরকে। এই গোলাকার ধুলো ও গ্যাসপুঞ্জের মাঝে থাকে একটি গোলাকার গর্তের মত। কৃষ্ণগহ্বরটি যে ওই নক্ষত্রপুঞ্জে রয়েছে তা জানতেও পারা যায়না। তা গ্যাস ও ধুলোয় ঢাকা পড়ে যায়।
এভাবে নক্ষত্রপুঞ্জের কৃষ্ণগহ্বরকে লুকিয়ে ফেলায় যে ওই নক্ষত্রপুঞ্জের তৈরি গ্যাস ও ধুলোর হাত থাকে সে সম্বন্ধে এখন একটা স্পষ্ট ধারনা পেলেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে খতিয়ে দেখতে গিয়ে কৃষ্ণগহ্বর লুকিয়ে ফেলার রহস্য সম্বন্ধে জানতে পারেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা