বুদ্ধি খরচ করে চিড়িয়াখানা থেকে চম্পট দিল তোতাপাখি
তার বুদ্ধিকে তারিফ করছেন অনেকেই। চিড়িয়াখানার ঘেরাটোপ থেকে পালাতে সে যে এমন কিছুও ভাবতে পারে তা কল্পনাই করতে পারেননি অনেকে।
অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনাটা কি সে করেছিল? নজর করেছিল চিড়িয়াখানা থেকে বার হওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল পথ? নাকি হঠাৎই মাথায় আসে আর সে বুদ্ধি করে পালায়? এসবের উত্তর কারও জানা নেই। তবে সে পালায়। আর পালানোর জন্য যথেষ্ট বুদ্ধি খরচ করে।
পালানোর ইচ্ছা হয়তো ছিল সঙ্গীকে নিয়েই। কিন্তু সে সঙ্গী তার সঙ্গে একইরকম সাহসটা দেখিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে একজন পালাতে পারে, অন্যজন থেকে যায় চিড়িয়াখানায়।
চিড়িয়াখানায় অন্য অনেক পাখির সঙ্গে তোতাপাখিও রয়েছে। এই তোতাপাখিগুলিকে বলা হয় রেনবো লরিকিট। অপরূপ তাদের রংয়ের বাহার।
এদের দেখতে চিড়িয়াখানায় ভিড়ও নেহাত কম হয়না। সেদিনও ভিড় হয়েছিল। এমনই এক দর্শক পাখিদের দেখে চিড়িয়াখানা থেকে বেরিয়ে আসছিলেন।
সেই সময় পাখির ঘেরাটোপ থেকে তিনি যখন বার হতে যান তখন তাঁর ওপর চড়ে বসে ২ রেনবো লরিকিট। একটি অবশ্য থাকেনি বেশিক্ষণ। ফের উড়ে ফিরে যায় তার ঘেরাটোপেই।
কিন্তু অন্যজন চুপ করে বসে থাকে ওই দর্শকের পিঠে যতক্ষণ না তিনি ঘেরাটোপ থেকে বার হন। আর যেই বার হন তখনই সে টুক করে উড়ে যায় আকাশে।
ব্রিটেনের কোলচেস্টার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যেই জানতে পারে এমনটা ঘটেছে তখনই তারা উড়ে যাওয়া পাখিকে ধরতে ছুটে আসে। তাকে দেখাও যায় চিড়িয়াখানারই গাছের ডালে। কিন্তু খোলা আকাশপথে সে একসময় চিড়িয়াখানা চত্বর ছেড়ে দূরে পালিয়ে যায়।