শুধু ছাত্রীরাই নয়, এখন থেকে ছাত্ররাও স্কুলে স্কার্ট পরে আসতে পারবে। নয়া এই পোশাক বিধিকে ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচলিত লিঙ্গবৈষম্যের ধারণা এভাবেই ভেঙে খানখান করে দিল ব্রিটেনের একটি বিখ্যাত বোর্ডিং স্কুল। পোশাক বিতর্কে বিভেদের লৌহশৃঙ্খল ভেঙে দিয়ে অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন ইংল্যান্ডের ইস্ট মিডল্যান্ড অঞ্চলের রুটল্যান্ডের আপিংহাম স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নারী ও পুরুষ আজকের যুগে জৈবিক লিঙ্গনির্ধারক দুটো শব্দ মাত্র। শরীরী গঠন অনুসারে নারী ও পুরুষের মধ্যে হয়তো ফারাক আছে। কিন্তু সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা বা কর্মজগতে নারী-পুরুষের বিভেদ আজ গুরুত্বহীন। সব ক্ষেত্রেই যদি সেই বৈষম্য দূর করা যায়, তাহলে পোশাকে নয় কেন? কেন মহিলাদের পোশাক ছেলেরা পরতে পারবে না? কেন স্কুলে ছাত্রীদের মত আরামদায়ক ‘শর্টস’ পরে ঢুকতে পারবে না ছাত্ররা? গত বছর এই প্রশ্নে ব্রিটেনের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের ডেভন অঞ্চলের ইসকা একাডেমির ছাত্ররা। তাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিল ব্রিটেনের উদারপন্থী, সমকামী সংগঠনগুলি। এরপরেই এক এক করে ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি কোএড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলে নেওয়া হয় পোশাক বিধি। স্কুলগুলিতে প্রবর্তন হয় লিঙ্গনিরপেক্ষ পোশাক নীতির। সেই পথেই এবার হাঁটল আপিংহাম স্কুল।
জৈবিক লিঙ্গের বিচারে ইংল্যান্ডের সমাজে ছেলে ও মেয়েদের সম্বোধন করা হয় ‘পিউপিলস’। শুধু শব্দ নয়, শারীরিক বৈষম্য দূর করতে নারী ও পুরুষের পোশাকের ভাবনায় এককেন্দ্রীকরণ নীতি প্রবর্তনের প্রয়োজন। সেই বিষয়ে চোখে আঙুল দিয়ে আপিংহামের মত রক্ষণশীল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুঝিয়ে দিল মনে করছেন ব্রিটেনের শিক্ষাবিদরা।