সারা গায়ে ৬৯টি খরগোশ নিয়ে বাজিমাত করলেন এক ব্যক্তি
খরগোশ তাঁর বড় প্রিয়। তাই নিজের সঙ্গে সবসময় রাখেন খরগোশদের। তারা বিরাজ করে তাঁর শরীর জুড়ে। সে সংখ্যা এখন ৬৯।
এই ব্যক্তি পছন্দ করেন খরগোশ পুষতে। তবে তিনি একটু অন্যভাবে খরগোশ পোষেন। তিনি রক্তমাংসের খরগোশ পোষেন না। কিন্তু খরগোশ পোষেন। তিনি সারা গায়ে খরগোশ পুষে রাখেন। সেসব খরগোশের কেউ খেলা করে। কেউ খিলখিল করে হাসে। কেউ জোড়ে ছোটে, কেউ রংবেরংয়ের সাজে সেজে থাকে এবং এমন অনেক কিছু করে।
এসব খরগোশ অবশ্য এক জায়গায় স্থির। আসলে তাঁর সারা গায়ে খরগোশের ট্যাটু করা আছে। ৪২ বছর তাঁর বয়স। এরমধ্যেই তিনি শরীর জুড়ে ৬৯টি ট্যাটু করিয়ে ফেলেছেন। যার প্রতিটিই খরগোশের।
হাত, পা, বুক ও ঘাড়ে এই সব ট্যাটু শোভা পাচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রথম খরগোশের ট্যাটু করান তিনি। তারপর থেকে কার্যত এটা তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে।
অন্য কোনও ট্যাটু নয়, তাঁর একমাত্র পছন্দ খরগোশের ট্যাটু। ব্রিটেনের ওয়েলসের বাসিন্দা ক্রেগ ইভান্স অবশ্য সারা গায়ে খরগোশ নিয়ে ঘুরলেও বাড়িতে তাঁর একটিও খরগোশ নেই।
ক্রেগ খরগোশকে বাড়িতে রাখেন না ইচ্ছা করেই। কারণ তাঁর অন্য পোষ্যের সঙ্গে খরগোশের সখ্যতা হবেনা। ফলে সেটা তিনি এড়িয়েই চলেন।
ট্যাটু এখন বিশ্বজুড়েই এক ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। আমজনতাও এখন ট্যাটু করাতে ছুটছেন। বিশেষত নতুন প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এক আবশ্যিক অঙ্গশোভায় পরিণত হয়েছে।
নানা ধরণের ট্যাটু সেখানে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু খরগোশের ট্যাটু বিশেষ নজরে পড়েনা। কিন্তু নিজের গায়ে ৬৯ ট্যাটুর হাত ধরে ক্রেগ ইভান্স এখন বিশ্বরেকর্ডেরও অধিকারী। তাঁর এই খরগোশের ট্যাটুর কথা বিশ্বের নানা প্রান্তের সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।