নীল আকাশ থেকে পায়খানার বৃষ্টি, প্রাণ ওষ্ঠাগত গোটা এলাকার
নীল আকাশের বুকে সে এক চোখ জুড়নো দৃশ্য। কিন্তু সেই ঢেউ যে এমন এক অপাংক্তেয় বৃষ্টিতে গোটা এলাকা ঢেকে দেবে সেটা কেউ ভাবতে পারেননি।
নীল আকাশের বুকে যদি কেউ কোনও সুন্দরের দেখা পান তাহলে তা দেখতে চাওয়াটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছিল। এক ঝাঁক পাখি উড়ছিল আকাশে। তারা সংখ্যায় কার্যতই অগণিত। কিন্তু তারা বড়ই নিয়ম পরায়ণ। সকলে একসঙ্গে একই পথে ওড়ে। তৈরি করে ঢেউ।
অজস্র পাখির সেই ঢেউ ছন্দ মেনে খেলে বেড়াচ্ছিল আকাশ জুড়ে। এমন এক দৃশ্য একবার নজরে পড়লে তা থেকে চোখ ফেরানো মুশকিল। কিন্তু চোখ ফেরাতে সকলকে বাধ্য করল সেই পাখিদের আকাশের বুক জুড়ে ছন্দ নাচন।
ব্রিটেনের লিঙ্কনশায়ার-এ এই পাখিদের অপরূপ ছন্দে আকাশ জুড়ে ভেসে বেড়ানো কিন্তু এলাকার মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ছেড়েছে। কয়েকজন পাখিদের সেই নাচ ভাল করে দেখার আশায় বাড়ির দরজা খুলে একটু বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু যত দ্রুত তাঁরা বেড়িয়েছিলেন, ততটাই দ্রুত তাঁরা ঢুকে পড়েন ঘরে। তাও আবার মাথা ভরা বিষ্ঠা নিয়ে।
এ পাখিরা আকাশে এমন সুন্দর ছন্দে ভেসে বেড়ালেও, তারা উড়তে উড়তে যে পরিমাণ মলত্যাগ করে তাতে গোটা এলাকা মুড়ে গেছে পাখিদের মলের চাদরে।
বাড়িঘর, গাছপালা, গাড়ি, রাস্তা কিছু বাকি নেই বিষ্ঠায় ভরে যেতে। তার সঙ্গে একটা দুর্গন্ধও বার হয়েছে ওই বিষ্ঠা থেকে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন এই বিষ্ঠা শরীরের পক্ষেও খারাপ।
কিন্তু ওই অগণিত পাখির বিষ্ঠা যে কতটা পরিমাণ হতে পারে তা বাড়ি থেকে যখন সকলে বার হতে পারলেন তখন দেখতে পেলেন। যে কজন আগেই বেরিয়েছিলেন তাঁদের অনেকের মাথাই ওই পাখির বিষ্ঠায় ভরে যায়।
উড়তে উড়তে বৃষ্টির মত তারা মলত্যাগ করতে থাকে। পাখিরা বিদায় নিলে এলাকার মানুষের সবচেয়ে বড় কাজ হয় ওই বিষ্ঠা সাফ করা।
এই খবর ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম বিবিসি-তে প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নেয়।