ভেড়ারাও ডিওডোরেন্ট মেখে এখন শান্তি পাচ্ছে
তাঁর পোষা ভেড়ারা নিজেদের মধ্যে কথায় কথায় লড়াইয়ে উত্তীর্ণ হচ্ছিল। এই লড়াই থামানোর কৌশল হিসাবে তিনি যে টিপস পেলেন তাতেই এল আশ্চর্য শান্তি।
ড্রেসিং টেবিলে মহিলাদের, এমনকি পুরুষদের প্রসাধনীও রাখা থাকে। তা তাঁরা ব্যবহারও করেন। নিজেকে সুন্দর রাখা, সুগন্ধে মুড়ে রাখার কাজে লাগে নানা প্রসাধনী। কিন্তু তার সঙ্গে ভেড়ার কি সম্পর্ক? সম্পর্ক যে আছে তা ভেড়ার মালিকেরও জানা ছিলনা।
এদিকে তাঁর ভেড়ার পালে মাঝেমধ্যেই লড়াই শুরু হচ্ছে। থামানো যাচ্ছেনা। কি করা যায় তা জানতে তিনি সোশ্যাল সাইটে সুপরামর্শ চান। যদি কারও কোনও উপায় জানা থাকে তবে তিনি যেন জানান।
সেটা হয়ও। সোশ্যাল সাইটেই এই টোটকার কথা জানতে পারেন তিনি। দেখা যাক কি হয় ধরনের মানসিকতা নিয়ে সেই টোটকা মেনে কাজটিও করেন। আর তাতেই ম্যাজিকের মত ফল হয়।
ভেড়ার পালের মালকিন তাঁর ড্রেসিং টেবিলে থাকা অ্যাক্স ডিওডোরেন্ট নিয়ে এসে স্প্রে করে দেন ভেড়াদের গায়ে মাথায়। সুগন্ধে ভরে যায় ভেড়াদের শরীর। দেখা যায় সেই সুগন্ধই কাজে লেগে যায়।
ভেড়ারা এই স্প্রে গায়ে পড়ার পর কেমন যেন শান্ত স্বভাবের হয়ে গেছে। নিজেদের মধ্যে আর লড়াই ঝগড়া করেনা। শান্ত হয়ে থাকে। শান্ত এবং শিষ্ট হয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বেছে নিয়েছে তারা।
একটা ডিওডোরেন্ট যে এমন কামাল দেখাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি ব্রিটেনের নরফোক-সাফোক সীমান্তের বাসিন্দা ওই মহিলা। এক ভেড়ার পালের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটার পর ঘটনাটির কথা ‘দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এরপর গোটা পৃথিবীতে সে খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এখন অনেক ভেড়া পালকই এই পদ্ধতিতে তাঁদের ভেড়াদের শান্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।