কানে তুলো গুঁজে শুতে হচ্ছে, রাতে কুপিয়ে দিচ্ছে মাটি, মুরগি কাণ্ড চলছে
সংখ্যা শতাধিক। তারাই এখন গোটা এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছে। যাদের খাবার পাতে দেখতে পাওয়া যায়, তারাই এখন এলাকাবাসীকে এলাকা ছাড়া করার উপক্রম করেছে।
রাত নামলেই এখন গোটা এলাকা তটস্থ হয়ে উঠছে। অনেকে তো রাতে না ঘুমিয়ে সকালে ঘুমচ্ছেন। এলাকার প্রায় সকলেই কানে তুলো গোঁজার বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলেছেন। নাহলে উপায় নেই। কানফাটা আওয়াজে ঘুমের দফারফা হবেই হবে।
কারণ ওরা আজকাল আর ভোরে সুরেলা কণ্ঠে ঘুম ভাঙানি ডাক ডেকে ওঠেনা। বরং রাতের অন্ধকারে একসঙ্গে ডেকে ওঠে। কর্কশ কণ্ঠে শতাধিক মুরগির সেই ডাক রীতিমত পিলে চমকে দেওয়ার মত। তাই এলাকার মানুষ তাদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত।
এভাবে দিনের পর দিন রাতে না ঘুমিয়ে কাটানো যায়? সহ্যের সীমা শুধু এখানেই ছাড়ায়নি, সেই সঙ্গে যাঁদের বাড়ি সংলগ্ন বাগান রয়েছে, তাঁদের বাগানেই রাতে হামলা চালাচ্ছে এই শতাধিক মুরগির দল।
রাতের অন্ধকারে বাগানের মাটি খুঁড়ে একাকার করে দিচ্ছে। পরদিন বাগানের চেহারা দেখে কার্যত চোখ ফেটে জল আসছে বাড়ির মালিকের।
এভাবে চলতে পারেনা। তাই এলাকার অনেকেই সোজা হাজির হয়েছেন নগর প্রশাসনের কাছে। তাঁদের আবেদন এই মুরগির দলকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ইংল্যান্ডের নরফোক এলাকায় এই মুরগির দলের তাণ্ডব এখন গোটা এলাকার মানুষকে ২ ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। কিছু বাসিন্দা আবার মুরগিদের পক্ষে।
তাঁরা চাইছেন এখানে বহুদিন ধরেই মুরগিদের বাস। তাই তাদের এভাবে এখান থেকে সরানো যাবেনা। বাকিরা চাইছেন মুরগিদের অবিলম্বে প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। এখনও নগর প্রশাসন কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।