বিশ্বের প্রাচীনতম ঘড়ি কোনটি, কেন সেটি ৪৯৮ বছর বন্ধ ছিল
বিশ্বের প্রাচীনতম ঘড়িটি বন্ধই ছিল ৪৯৮ বছর। তারপর তা ফের চালু করা হয়। এটি যখন বসানো হয় তখন ভারতে তুঘলক সাম্রাজ্য চলছে।
ভারতে তুঘলক সাম্রাজ্যের অন্যতম সম্রাট ফিরোজ শাহ তুঘলক তখন ভারতের মসনদে। সময়টা ১৩৮৬ সাল। সে সময় ঘড়ি নামক বস্তুটির কথা কারও তেমন জানা ছিলনা। সময়ের পরিমাপের অন্য মাধ্যম ছিল। যন্ত্র নির্ভর ঘড়ি কার্যতই একটা আশ্চর্য অনেকের কাছে।
সেই সময় ব্রিটেনের উইটশায়ারের স্যালিসবারি ক্যাথিড্রালে বসল এক চমকে দেওয়া বস্তু। একটি যন্ত্র চালিত ঘড়ি। বিশাল যন্ত্রের সম্ভার। রাজকীয় কর্মকাণ্ড। সে সময় বিশপ ইরঘামের উদ্যোগে এই ইতিহাস রচনা হয়।
মনে করা হয় এটাই হল পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ঘড়ি যা আজও চলছে। ইংল্যান্ডের এই চার্চে বসা এই ঘড়িটি অবশ্য মাঝে প্রায় ৫০০ বছর বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল। সেটিকে ফের চালু করার কথা সেভাবে কারও মাথায় আসেনি।
তবে তার ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই ১৯৫৬ সালে সেটিকে ফের চালু করার ব্যবস্থা করা হয়। যা মেরামতি করার সবকিছু করে ওই ঘড়িকে ফের চালু করা হয়।
ঘড়ি ফের টিকটিক করা শুরু করে। এখনও পর্যন্ত এই ঘড়িটি চলছে। তাকে যথার্থ রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে রেখে চালানো হচ্ছে। সময়ের চেয়েও বড় হল এর ঐতিহাসিক মূল্য।
শোনা যায় ইতালির মিলান শহরে ১৩৩৫ সালেই একটি যন্ত্রচালিত ঘড়ি টিকটিক করা শুরু করেছিল। কিন্তু তা এখনও কার্যকরী নয়। ব্রিটেনের চার্চের এই ঘড়িটি আজও টিকটিক করে চলেছে।