ট্রেনের চাকায় জীবন যেতে পারত, উল্টে হল আনন্দ সফর
ট্রেনের চাকায় তার জীবন যেতে পারত। তাকে না দেখে চাকা ওপর দিয়ে চলেও যেতে পারত। কিন্তু হল একেবারেই উল্টোটা।
ট্রেনটি যখন স্টেশনে এসে দাঁড়ায় তখনও তার কথা কেউ জানতেন না। ট্রেনের লাইনে এভাবে কারও আসার কথা নয়। কিন্তু সেটা মানুষকে বোঝানো যায়। তাকে কীভাবে বোঝানো সম্ভব?
সে অত কিছু না ভেবেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির সামনের লাইনে গুটি গুটি পায়ে এগোতে থাকে। চোখেও পড়ে যায়। সময় নষ্ট না করে ট্রেনটিকে আটকায় রেল কর্তৃপক্ষ। যাতে ট্রেনের চালক সময় হয়ে গেছে ভেবে ট্রেনটি চালিয়ে না দেন।
তাহলে তাকে আর রক্ষা করা যাবেনা। ট্রেনটিকে আটকানোর ফলে সময় নষ্ট হয় যাত্রীদের। এদিকে রেলের কর্মীরা চট করে লাইনে নেমে পড়েন। তারপর তাকে চ্যাংদোলা করে তুলে আনেন ওপরে।
ওপরে তোলার পর অন্য একটি ট্রেনে তাকে তুলে দেওয়া হয়। গন্তব্য ছিল একটি পশু চিকিৎসা কেন্দ্র। তবে সেখানে আর যেতে হয়নি। কচ্ছপটিকে ট্রেনে তুলে দেওয়ার পর সে খোশমেজাজেই সফর করছিল ট্রেনে।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে। লন্ডন শহরের অদূরে অ্যালডারশট থেকে অ্যাসকটগামী ট্রেনে কচ্ছপটি সফর করে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই তার খবর পেয়ে যান কচ্ছপের মালিক। তিনি সেখানে দ্রুত হাজির হন।
তারপর তাঁর কচ্ছপ তিনি ফিরিয়ে নিয়ে যান। বরাত জোরে বেঁচে যাওয়া জীবন, তারপর ট্রেনে সফর, আর অবশেষে ফের মনিবের কোলে ফিরে যাওয়া। এত কিছু হয়ে যাওয়ার কথা কচ্ছপ কতটা বুঝল জানা নেই, তবে ব্রিটেন জুড়ে এটি একটি খবরে পরিণত হতে সময় নেয়নি।