চোর কে জেনেও কিছু করতে পারছেন না দোকানদার
চিপসের প্যাকেট চুরি চলছে অনেক দিন ধরে। রাতের অন্ধকারে নয়, সকালের আলোয় সকলের সামনে চুরি হয়। কিন্তু কিছু করে উঠতে পারছেন না দোকানদার।
চোর কে তা জানা। কী চুরি হয় তা জানা। কীভাবে চুরি হয় তাও জানা। কিন্তু সবকিছু জেনেও কিছু করে উঠতে পারছেন না দোকানদার। শুধুই কি দোকানদার, দোকানের অন্য কর্মচারিরাও নেহাতই অসহায়।
চোখের সামনে আসছে। চিপসের প্যাকেট বেছে তুলে নিচ্ছে। তারপর দিব্যি বেরিয়ে যাচ্ছে। এমনকি খাওয়ার জন্যও তার তর সইছে না। দোকান থেকে বেরিয়েই খাওয়া শুরু করে দিচ্ছে।
সেসব ছবিও তুলে ফেলেছেন দোকানের কর্মচারিরা। সব জেনেও কিছু করার নেই। তাই দোকানের বাকি গ্রাহকদের কাছে তাঁদের অনুরোধ দয়া করে তাঁরা যেন দোকানে ঢোকা বা বার হওয়ার সময় দরজাটা ভাল করে আটকে দেন।
দোকানের সকলে চোরের নাম রেখেছেন স্টিভেন সিগাল। বিখ্যাত তারকা স্টিভেন সিগালের নামেই নামকরণ। সিগাল থেকে তারা তার নাম রেখেছে স্টিভেন সিগাল।
সিগাল হল একধরনের সাদা পাখি। একটু বড় চেহারার পাখি। সেই পাখির উপদ্রবে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে ব্রিটেনের ডোরসেট এলাকার দোকানদারের।
তাঁর দোকানে অন্য অনেক জিনিসের সঙ্গে বিভিন্ন স্বাদের পটেটো চিপস বিক্রি হয়। সেখানে গত ২ মাস ধরে একটি সিগাল পাখির উপদ্রব শুরু হয়েছে।
দরজা খোলা পেলেই সে পাখি হেঁটেই দোকানে ঢোকে। পটেটো চিপসের তাক কোথায় সে জানে। সেখানে পৌঁছে যায়। তারপর পছন্দের প্যাকেটটি মুখে করে নিয়ে ফের দুলকি চালে হেঁটেই দোকান থেকে বেরিয়ে যায়।
দোকানদার জানাচ্ছেন গত ২ মাসে তাঁর ৩০টির ওপর চিপসের প্যাকেট নিয়ে চলে গেছে ওই সিগাল পাখিটি। এখন একটু ঝাল চিপস রেখে দোকানদার দেখার চেষ্টা করছেন চিপসে কোনওভাবে সিগালটির অরুচি হয় কিনা। যদিও তেমন কিছু ইঙ্গিত মেলেনি। সিগাল তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।