ডাকবিভাগের অবিশ্বাস্য দায়বদ্ধতায় চিঠি এল সঠিক ঠিকানায়, তবে ১২১ বছর দেরিতে
চিঠি যে ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল সেই ঠিকানাতেই পৌঁছল। তবে তা পৌঁছতে একটু সময় লেগে গেল। কতটা সময় তা অবশ্যই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।
তাঁরা একটি চিঠি পেলেন। তাঁদের ঠিকানাতেই পাঠানো হয়েছে চিঠিটা। চিঠি বলতে একটি পোস্টকার্ড। যাতে হাতে লেখা নানা কথা রয়েছে। যার অনেকটাই পড়ার অযোগ্য হয়ে গেছে। তবে পোস্টকার্ডটি সঠিক রয়েছে। তার ওপর লেখা ঠিকানাও পরিস্কার।
পোস্টাল স্ট্যাম্প থেকে এটা পরিস্কার যে ১৯০৩ সালে সেই চিঠি পোস্ট করা হয়েছিল এই ঠিকানায় পাঠানোর জন্য। সে চিঠি এল সঠিক ঠিকানায় বটে, তবে একটু দেরি করে। ১২১ বছর পর পোস্টকার্ডে লেখা সঠিক ঠিকানাতেই সেটি পৌঁছে দিল পোস্টঅফিস।
ওই ঠিকানাটি বদলায়নি। ওয়েলসের সোয়ানসি-র ১১ নম্বর ক্র্যাডক স্ট্রিট আজও আছে। তবে যখন লিডিয়া ডেভিস নামে এক মহিলাকে চিঠিটি লেখা হয়েছিল তখন এটি একটি বাড়ি ছিল। এখন সেটি একটি ব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে। যদিও ঠিকানা একই রয়েছে।
চিঠিটি যাঁকে পাঠানো হয়েছিল তিনি আর নেই। তবে চিঠিটি আর সেদিনের মত আর পাঁচটা চিঠির মত মামুলি নেই। তা এখন একটা ইতিহাস। ১২১ বছর পরেও যে সঠিক ঠিকানায় চিঠি পৌঁছে দেয় ডাকঘর তা দেখে হতবাক সকলে।
রয়্যাল মেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়, চিঠিটি তাদের কাছেই কোথাও ছিল। যা হয়তো নজরে পড়েনি। কারণ তা যদি হারিয়ে যেত তাহলে একটা কথা ছিল। তা তাদের কাছেই রয়ে গিয়েছিল বলেই তা সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
কারণ চিঠি তাদের জিম্মায় থাকলে তা সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া তাদের দায়বদ্ধতা। তবে কেন ১২১ বছর দেরি তা নিয়ে কোনও যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে পারেনি ডাকবিভাগ।