উদ্ধার হওয়া ৪ হাজার বছর পুরনো মানুষের হাড় জানান দিচ্ছে নরখাদকের কাহিনি
উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার বছর পুরনো হাড়গোড়। মাটির তলা থেকে তা উদ্ধার হওয়ার পর সেগুলি পরীক্ষা করতে গিয়ে কার্যত হাড় হিম হওয়ার জোগাড় হয়েছে উদ্ধারকারীদের।
মাটি খুঁড়ে বহু প্রাচীন নিদর্শনের খোঁজ মেলে। সেই খোঁজ কখনও ইতিহাস বদলে দেয়। কখনও ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় যুক্ত করে। মানুষ জানতে পারে ঐতিহাসিক সত্য। তেমনই এক সত্য সামনে এল। তবে সে সত্য হাড় হিম করা সত্য।
শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দেওয়ার মত ঘটনার কথা বলছে মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া পুরুষ, নারী ও শিশুদের হাড়গোড়। কমপক্ষে ৩৭ জনের হাড় ও করোটির খোঁজ মাটির তলায় প্রায় ৫০ ফুট খনন করার পর উদ্ধার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
হাড়গুলির বয়স ৪ হাজার বছর। খ্রিস্টপূর্ব ২২১০ থেকে ২০১০-এর মধ্যে কোনও একসময়ে এই মানুষগুলির একসঙ্গে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। অতর্কিত আক্রমণ হয় তাঁদের ওপর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তাঁদের মাথায় কাঠের গুঁড়ি বা মোটা কাঠ দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। পায়ের হাড়ও ভেঙে দেওয়া হয়। নির্মম অত্যাচারের পর তাঁদের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। তারপর এই ৩৭ জনের দেহ থেকে মাংস ছিঁড়ে খেয়ে ফেলা হয়।
হাড়ে থাকা দাঁতের দাগ দেখে তেমনই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মনে করা হয়েছে দাঁতে করে কামড়ে মাংস ছিঁড়ে খাওয়া হয়। এটা নরখাদকদের কাজ বলেও অনেকটাই নিশ্চিত তাঁরা।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে চার্টারহাউস ওয়ারেন ফার্মে খনন চালিয়ে এই গণকবর পাওয়া যায়। যে হাড়গুলি পাওয়া গেছে তার অনেকগুলিতে যেমন দাঁতের দাগ রয়েছে, তেমনই যে করোটি পাওয়া গেছে সেগুলিতে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট।
এ এক বড় আবিষ্কার সন্দেহ নেই। যা এক বড়ই করুণ নির্মম ইতিহাস বহন করছে। বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। অ্যান্টিকুইটি নামে একটি জার্নালে এই খোঁজের কথা প্রথম প্রকাশিত হয়।