ওটা কি মানুষ ভাসছে, প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা উপকূলরক্ষীদের
একটা ফোন আসে উপকূলরক্ষীদের কাছে। সমুদ্রের জলে এক মানুষকে ভাসতে দেখা যাচ্ছে। যা শুনে দ্রুত সেখানে হাজির হয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
সমুদ্রের ধার থেকে অনেক দূরে কিছু একটা ভাসতে দেখেন এক ব্যক্তি। ওটা কি দেখার জন্য তিনি ছবি তোলেন। কিছুটা জুম করে ছবিটা তোলার পর তাঁর মনে হয় একজন মানুষ ভাসছেন। তবে কি কেউ জলে ডুবে যাচ্ছেন? নাকি ইতিমধ্যেই ইহলোক ত্যাগ করা মানুষটির দেহ জলে ভাসছে?
কিছুই পরিস্কার করে বুঝতে পারেননি তিনি। তাই দ্রুত ফোন করেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর দফতরে। সেখানে খবরটা পৌঁছনোর পরই উপকূলরক্ষী বাহিনী ছুটে আসে সমুদ্রের ধারে।
যে প্রত্যক্ষদর্শী ফোনটা করেছিলেন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন কোথায় তিনি ওটা দেখেছেন। ওই ব্যক্তি যে ছবি তুলেছিলেন তাও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের দেখান।
তাঁরা সেটা ভাল করে দেখার পর বুঝতে পারেন ওটা কোনও মানুষ নয়। তবে মানুষের মত দেখতে। যেখানে সেটি ভাসছিল সেখানে পৌঁছন উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তারপর সেটিকে জল থেকে তুলে আনেন।
জল থেকে তোলার পর তাঁরা দেখেন সেটি রক্তমাংসের মানুষ নয়, বরং মানুষের চেহারার একটি পুতুল। কেউ জলে পড়ে গেলে বা ডুবে যাচ্ছেন এমনটা হলে বা কোনও জাহাজ বা নৌকা থেকে কেউ জলে পড়ে গেলে তাঁকে কীভাবে রক্ষা করা হবে, তার অনুশীলন করানোর জন্য এই ধরনের পূর্ণ দৈর্ঘ্যের মানবদেহ রূপী পুতুল ব্যবহার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারের ক্লিভলিস সমুদ্র শহরে। সেখানেই সমুদ্রসৈকতে এক ব্যক্তির নজরে আসে বিষয়টি। উপকূলরক্ষী বাহিনী পুতুলটি তুলে নিয়ে ঠিক করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। না হলে এই পুতুলটি ঘিরে মানুষের কৌতূহল এবং আতঙ্ক বাড়ত।