স্কুল কেটে স্টেডিয়ামে, টিভিতে দেখা যেতেই স্কুলের কোপে ছাত্র
স্কুলে মিথ্যা বলে প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে গিয়ে মুশকিলে পড়ে গেল এক ছাত্র। টিভির পর্দাই সমস্যার কারণ হল। যদিও নেটিজেনদের মত অন্য।
মাত্র ৯ বছর বয়স। কিন্তু ফুটবলের প্রতি তার গভীর ভালবাসা। প্রিয় দলের খেলা থাকলে তার কিছুতেই মন টেকে না। সেই প্রিয় দলের খেলা হচ্ছে তারই শহরে। স্টেডিয়ামে তাকে যেতেই হবে। এদিকে ওইদিন স্কুল রয়েছে। একই সময়ে স্কুল এবং খেলা।
তাই স্কুলে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে সে লুকিয়ে হাজির হয় স্টেডিয়ামে। সেখানে তার দল জেতে। পছন্দের দলের জয়ে আনন্দ বাঁধ মানেনি ওই ৯ বছরের বালকের। সে স্টেডিয়ামেই এতটা উচ্ছ্বসিত ছিল যে তার সেই উচ্ছ্বাসের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়।
টিভিতে দেখা যায় তার আনন্দ উল্লাস। সেই ভিডিওটিও ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয় দলের জয়ের আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়েই কিন্তু বেকায়দায় পড়ে গেল ইংল্যান্ডের ওই ছাত্র স্যাম স্কট। যা মনে করিয়ে দিল এক বিখ্যাত হিন্দি সিনেমার কথা।
গোলমাল সিনেমায় অমল পালেকর অফিসের বস উৎপল দত্তকে মিথ্যে বলে অফিস কেটে হকি ম্যাচ দেখতে যান। এদিকে বসও হাজির স্টেডিয়ামে। সেখানে তিনি অমল পালেকরকে আনন্দে মেতে উঠতে দেখে বুঝে যান অফিস কাটার বিষয়টি।
সেটা ধামাচাপা দিতে অমল পালেকর বানিয়ে ফেলেন তাঁর যমজ ভাই। মজার সেই সিনেমার কাহিনি কতকটা বাস্তব হয়ে সামনে এল স্যামের ক্ষেত্রে।
সে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের অন্ধ ভক্ত। সেই দলের সঙ্গে খেলা ছিল আর্সেনালের। খেলায় তার দল ২-০-তে জয় পায়। দল গোল করতে স্টেডিয়ামে আনন্দে চিৎকার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্যাম।
সেই ছবি টিভিতে সরাসরি দেখানো হয়। ম্যাচের লাইভে এক বালকের এই আনন্দ প্রকাশের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটেও। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষের তা নজরে পড়তে সময় নেয়নি।
এভাবে স্কুলে অজুহাত দিয়ে ফুটবল দেখতে যাওয়ায় বেজায় চটেছে স্কুল। স্যামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের আগে তার বাবা মাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও নেটিজেনদের অনেকেরই মতে প্রিয় দলের খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা কখনওই বাঞ্ছনীয় নয়।