World

বাইরে বেরোলেই বাজের হানা, গৃহবন্দি গোটা এলাকা, তারপর একদিন যা হল

রাস্তায় বার হওয়া যাচ্ছেনা। বার হলে যে কোনও মুহুর্তে বাজের হানার শিকার হতে হবে। এই পরিস্থিতি চলল একাধিক সপ্তাহ। তারপর একদিন যা হল।

শান্ত এলাকা। মানুষজনও শান্তিপ্রিয়। যে যাঁর কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সেই এলাকায় আচমকাই এক মূর্তিমান আতঙ্ক এসে হাজির হল। বাড়ির ছাদ থেকে ল্যাম্পপোস্টের মাথা, উঁচু গাছের আগা থেকে জলের ট্যাঙ্কের একদম উপরে, এসব জায়গায় তার দেখা পাওয়া গেল।

এমনিতে তাকে নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মাথায় ব্যথা করে দিলে তো মাথাব্যথা হবেই! সেটাই হল। রাস্তায় বার হলেই মাথায় এসে ঠুকরে দিয়ে যায় সে। কাউকে রেয়াত করা নেই।


কেউ যে তার কোনও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে এমনও নয়। কিন্তু কাউকেই ছাড়বে না সে। প্রথমে দুএকটি ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে মনে হলেও ক্রমে তার এই মাথায় এসে ঠুকরে যাওয়া বাড়তে থাকে। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়ায়।

একটি বাজপাখি যে তাঁদের শান্ত সুন্দর জীবনটাকে এমন দুর্বিষহ করে তুলবে তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি ব্রিটেনের ফ্লেমস্টিড এলাকার বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে বার হলেই রাস্তায় কোনও না কোনও সময়ে মাথায় এসে ঠুকরে যায় একটি বাজপাখি। যে ওখানেই থাকা শুরু করেছিল।


এভাবে প্রায় ৫০ জনের বেশি মানুষকে ঠুকরে দেয় সে। বেশ কয়েকজনের মাথা রক্তে ভেসে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু এভাবে তো টেকা দায়! অবশেষে ওই এলাকার এক মধ্যবয়সী বাসিন্দা সাহসের পরিচয় দেন।

যাঁরা বাজপাখি বিশেষজ্ঞ তাঁদের পরামর্শ মেনেই তিনি তাঁর বাড়ির পিছনের বাগানে হাজির হন। সেখানে তাঁকে দেখে হাজির হয় বাজটি। তাঁর থেকে সামান্যই দূরে ছিল সেটি।

ঝুঁকি নিয়ে তাকে কাছে আসতে দিয়ে তারপর তার ওপর খাঁচা ফেলে দেন ওই ব্যক্তি। বন্দি হয় হ্যারিস হক নামে এই বিশেষ প্রজাতির বাজপাখিটি। যে ব্রিটেনের বাসিন্দা নয়। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় এদের বাস। তবে বাজপাখিটি অবশেষে ধরা পড়ায় গোটা এলাকার মানুষ স্বস্তি পান।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button