ব্রিটেনে এখন নতুন ট্রেন্ডের নাম ‘ব্রেস্ট আয়রনিং’। বাংলায় বোঝাতে গেলে যার মানে দাঁড়ায় স্তন ইস্ত্রি করা। আফ্রিকায় এটা দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত। এক বিশেষ ধরণের পাথরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গরম করে কিশোরীদের স্তনের ওপর ইস্ত্রি করার মত করে ঘষা হয়। এতে তাদের স্তন যে সময়ে স্বাভাবিক নিয়মে সঠিক আকার নেওয়া উচিত, তার চেয়ে বেশি সময় নেয়। সোজা কথায় বিলম্বিত হয় স্তনের পূর্ণাঙ্গ আকার নেওয়া। সেই আফ্রিকান প্রচলন এখন ব্রিটেনে কিশোরী ও তরুণীদের নয়া ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। আর তা নাকি হুহু করে বাড়ছে। তবে এই ট্রেন্ড কোনও ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নয়।
কিন্তু কেন এমন কাণ্ড? নারী তো স্বাভাবিকভাবেই তাঁর স্তন সঠিক আকার নিক সেটা চাইবেন। কিন্তু ব্রিটেনের অনেক কিশোরী বা তার মা, ঠাকুমারা তা চাইছেন না। কারণটা অবশ্য আতঙ্ক। ব্রিটেনে কিশোরীদের স্তনের আকার বাড়লেই অনেক পুরুষের কুনজরে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এ থেকে বাড়ছে রাস্তাঘাটে শ্লীলতাহানি থেকে ধর্ষণের ঘটনা। আপাতত সেই আতঙ্ক থেকেই পুরুষের নজর থেকে বাঁচিয়ে রাখতে স্তনের আকার সহজে বাড়তে দিচ্ছে না ব্রিটেনের কিশোরীরা।
আফ্রিকায় অনেক আগেই এই সমস্যা সামনে এসেছিল। যে কারণে সেখানে এই প্রচলনও বহু আগে থেকেই চলে আসছে। বাড়ির অন্য মহিলারাই এই গরম পাথর স্তনের ওপর সপ্তাহে ১ দিন বা ২ সপ্তাহে ১ দিন করে ঘষে দেন। যা কিশোরীদের জন্য খুব কষ্টকরও হয়। অন্যদিকে এই পদ্ধতি স্তনের আকার সহজে বাড়তে দেয়না ঠিকই, তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন তা শরীরের পক্ষে আদৌ সুরক্ষিত পদক্ষেপ নয়। কারণ এ থেকে পরবর্তীকালে ওই কিশোরী সন্তানকে স্তন্যপান করানোর ক্ষমতা হারাতে পারেন, স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা তৈরি হয়, স্তন পরবর্তীকালে সঠিক আকারে বড় হয়না, থাকে সংক্রমণের সমস্যাও। এমনকি এভাবে স্তনকে বাড়তে না দেওয়ার ফলে কিশোরীরা অনেকক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সমস্যার শিকার হন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)