বড়দের কাছে স্তন্যদুগ্ধ বেচে মোটা টাকা রোজগার করেছেন, দাবি মহিলার
শিশুদের জন্য মায়ের দুধ একমাত্র খাদ্য। স্তন্যদুগ্ধ একটি বিশেষ অনুশীলনে যুক্ত মানুষজনের জন্যও উপকারি। তাঁদের স্তন্যদুগ্ধ বেচে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন তিনি।
প্রথম মাতৃত্বের আনন্দ তো ছিলই। সেইসঙ্গে সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি হওয়া তাঁর স্তন্যদুগ্ধকে কেবল সন্তানকে পান করানোই নয়, বিক্রির জন্যও ব্যবহার করলেন এক মহিলা। আর তাতে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি রোজগার করেছেন বলেও দাবি করে সকলকে চমকে দিলেন।
তিনি নিজেই তাঁর স্তন্যদুগ্ধ বিক্রির কাহিনি সামনে এনেছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি এই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি তিনি পাউচে করে তাঁর স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি করেন। যা তিনি বিক্রি করেন যাঁরা বডিবিল্ডার তাঁদের কাছে।
পেশীবহুল শরীরের খাওয়াদাওয়া কসরতে বড় সময় দেন বডিবিল্ডাররা। সেইসঙ্গে চলে হিসাব করে খাওয়া। যাঁরা বডিবিল্ডিং করেন তাঁদের পেশীবহুল শরীরের জন্য স্তন্যদুগ্ধ দারুণ একটা ফুড সাপ্লিমেন্টের কাজ করে বলে মনে করা হয়। ফলে তার চাহিদাও রয়েছে বডিবিল্ডারদের কাছে।
সেকথা মাথায় রেখেই তিনি তাঁর স্তন্যদুগ্ধ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন মিলা দেব্রিতো। ইতিমধ্যেই তিনি ১০ হাজার পাউন্ড রোজগার করেছেন বলেও দাবি করেছেন মিলা। যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি।
তিনি তাঁর স্তন্যদুগ্ধের পাউচের নাম দিয়েছে লিকুইড গোল্ড অর্থাৎ তরল সোনা। বডিবিল্ডারদের কাছে যা তরল সোনার মতই মূল্যবান। স্তন্যদুগ্ধের জন্য জিমপ্রেমী মানুষজন যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করতেও প্রস্তুত থাকেন।