বয়স গেছে কমে, উধাও অবসাদ, ওষুধ তৈরি হচ্ছে তাঁর শরীরেই
২০১৬ সালে যে মানুষটা অবসাদে বিপর্যস্ত ছিলেন, তিনিই এখন বেজায় খুশি। এজন্য একটি ওষুধই যথেষ্ট তাঁর। যা তাঁর দেহেই তৈরি হচ্ছে।
২০১৬ সালে তাঁর বয়স ছিল ২৭ বছর। যুবা বয়সে তিনি ভুগছিলেন চরম মানসিক অবসাদে। যা থেকে স্বাস্থ্যহানি শুরু হয় তাঁর। সেই সময় তিনি এক প্রাত্যহিক অভ্যাস শুরু করেন। যা বছরের একদিনও বাদ যায়না।
সেই একটি অভ্যাস বদলে দেয় তাঁর জীবন। অন্তত এমনই দাবি করেছেন ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ৩৪ বছরের হ্যারি। তাঁর দাবি তাঁর ওষুধ তাঁর দেহেই তৈরি হচ্ছে।
যা পান করে সেরেছে তাঁর মানসিক অবসাদ। আবার সেটাই মুখে মেখে প্রতিদিন মুখ পরিস্কার করায় তাঁর বয়স নাকি ১০ বছর কম মনে হয়।
হ্যারি ২০১৬ সালে যখন চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তখন থেকে তিনি জনৈকের পরামর্শে নিজের মূত্র নিজেই পান করতে থাকেন। তাঁর দাবি, সেই মূত্র পানের পর ক্রমে তাঁর মানসিক অবসাদ উধাও হয়ে যায়।
তিনি নিজের মূত্র দিয়েই নিজের মুখও ধুয়ে নেন। একে ইউরিন থেরাপি বলেই ব্যাখ্যা করেছেন হ্যারি। নিজ মূত্র পানে তাঁর মনও শান্ত হয়েছে।
হ্যারির মতে, তিনি নিজেও স্বপ্নে কল্পনা করতে পারেননি যে তাঁর এই মূত্র পানের সিদ্ধান্তে তিনি এত উপকার পাবেন। একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রকে তিনি জানিয়েছেন, নিজের মূত্র হওয়ায় তিনি এটা বিনামূল্যেই পান এবং ততদিন পাবেন যতদিন চাইবেন। নিজের মূত্র রেখে দিয়ে পান করেন হ্যারি। যদিও এর বৈজ্ঞানিক সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।