ইতিহাসে প্রথম, এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেবারেই তৈরি নন বিলেতের মানুষ
এটাই আবহাওয়া দফতরের সর্বোচ্চ সতর্কতা। যাকে লাল সতর্কতা বলা হয়। আজ পর্যন্ত কখনও বিলেতে এই সতর্কতা জারি করেনি আবহাওয়া দফতর।
বিশ্ব উষ্ণায়ন, ওজন স্তরে ফুটো, সমুদ্রের তলদেশ এবং উপরিভাগ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেতে যাওয়া, পরিবেশ দূষণ এবং এমন নানা সমস্যা আবহাওয়ার ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। জলবায়ু বদলে যাচ্ছে। পরিবেশ পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আসছে।
ইউরোপ জুড়ে এ বছর অস্বাভাবিক গরম সেই বার্তাই দিচ্ছে। ব্রিটেনে পারদ এখন এতটাই চড়ছে যে ব্রিটেনবাসীর জন্য তা আতঙ্কের হয়ে উঠেছে।
ব্রিটেনের একটা বড় অংশে আগামী সোম ও মঙ্গলবার অস্বাভাবিক গরম পড়বে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গরম এতটাই বাড়বে যে তার গুরুত্ব বোঝাতে এবং আগে থেকে তার জন্য তৈরি থাকতে ব্রিটেনে এই প্রথম গরমের জন্য লাল সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর।
ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ গরম রেকর্ড হয়েছে ২০১৯ সালে কেমব্রিজে। পারদ চড়েছিল ৩৮.৭ ডিগ্রিতে। ভারতে এই পারদ গরমে বহু জায়গায় স্বাভাবিক হলেও ব্রিটেনের মত শীতপ্রধান ও বৃষ্টিভেজা দেশে এমন গরম অপরিচিত।
তাই এই পারদ ব্রিটেনবাসীর জন্য প্রাণান্তকর। কারণ এই গরমের সঙ্গে তাঁরা অভ্যস্তই নন। ফলে তাঁদের সতর্ক করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও মানসিক প্রস্তুতি রাখতে আগে থেকে লাল সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর।
ব্রিটেনের ইতিহাসে এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে রইল। এই প্রথম ব্রিটেনে গরমের জন্য লাল সতর্ক জায়গা করে নিল ইতিহাসের পাতায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা